সুশান্ত নেশা করতেন নিয়মিত, একাধিক বিস্ফোরক দাবি রিয়া চক্রবর্তীর

সিগারেটের মধ্যে গাঁজা ভরে রাখতে বলতেন বাড়ির কর্মীদের 

Edited By: জয়িতা বসু | Updated By: Sep 23, 2020, 05:21 PM IST
সুশান্ত নেশা করতেন নিয়মিত, একাধিক বিস্ফোরক দাবি রিয়া চক্রবর্তীর
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন : মঙ্গলবার ​ফের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় রিয়া চক্রবর্তীর। ফলে আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হচ্ছে সুশান্ত সিং রাজপুতের বিশেষ বান্ধবীকে। রিয়ার পাশাপাশি সৌভিক চক্রবর্তী, দীপেশ সাওয়ান্ত, স্যামুয়েল মিরান্ডাদেরও জেলেই কাটাতে হচ্ছে। মঙ্গলবার রিয়া চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও, অভিনেত্রীর তরফে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক দাবি করা হয়। 

আরও পড়ুন  : এবারের পুজোটা যেন অন্যরকম, কেনাকাটা বা আড়ম্বরে এক্কেবারে মন নেই 'কাদম্বিনীর'

রিয়ার দাবি অনুযায়ী, সুশান্ত নিয়মিত গাঁজার নেশা করতেন। সিগারেটেরে মধ্যে গাঁজা ভরে, তা নিয়মিত সেবন করতেন সুশান্ত সিং রাজপুত। নিজের নেশাকে সম্পূর্ণভাবে টিকিয়ে রাখতে সুশান্ত তাঁদের ব্যবহার করেছেন। সৌভিক চক্রবর্তী থেকে সুশান্তের বাড়ির কর্মীরা যাতে সহজেই অভিনেতার জন্য মাদকের ব্যবস্থা করতে পারেন, সেদিকে খেয়াল রেখেই নিজের কর্মীদের এবং আশপাশের মানুষদের মাদকের নেশায় সুশান্ত অভ্যস্ত করিয়েছিলেন বলে দাবি রিয়ার। শুধু তাই নয়, সুশান্ত যদি জীবিত থাকতেন, তাহলে বর্তমানে তাঁকেও একই দোষে সাজা পেতে হত। প্রসঙ্গত, জামিন অযোগ্য নয়, জামিন যোগ্য ধারাতেই রিয়া চক্রবর্তীদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন অভিনেত্রী। 

আরও পড়ুন  : কয়েকশো কোটির বিগ বস নিয়ে হাজির হচ্ছেন সলমন, দেখুন চমকে দেওয়া প্রতিযোগী তালিকা

রিয়ার দাবি অনুযায়ী, মৃত্য়ুর ৩ দিন আগে রাঁধুনি নীরজ সিংকে সিগারেটেরে মধ্যে গাঁজা ভরে রাখার কথা বলেন সুশান্ত। অভিনেতার শোয়ার ঘরেই সেই সিগারেটের বাক্স রাখতে বলা হয়। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের সময় যা স্বীকার করেছেন অভিনেতার রাঁধুনি। মুম্বই পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও নীরজ সেই একই দাবি করেছেন বলে জানান রিয়া। শুধু তাই নয়, ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর শোয়ার ঘরে গিয়ে দেখা যায়, সিগারেটের বাক্স পুরো ফাঁকা। এমন দাবিও করেন রিয়া। প্রসঙ্গত, সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর রাঁধুনিও এই একই দাবি করেন।

এসবের পাশাপাশি জামিনের আবেদনে রিয়া দাবি করেন, সুশান্তের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সম্পর্ক শেষের দিকে তেমন ভাল ছিল না।  এমনকী, মানসিক অবসাদের চূড়ান্ত পর্যায়ে যখন সুশান্ত পৌঁছে যান, সেই সময় তাঁর দিদি তাঁকে চেড়ে চলে যান বলে দাবি করেন রিয়া। ়তাঁর সঙ্গে পরিচায়ের আগে থেকেই নিয়মিত গাঁজার নেশা করতেন সুশান্ত।  কেদারনাথের শ্যুটিংয়ের সময় তা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল বলে জানান রিয়া চক্রবর্তী। 

এসবের পাশাপাশি সুশান্তের ফোন কল, মেসেজ, হোয়াটস অ্যাপ খতিয়ে দেখা হোক। যেখানে গাঁজা-সহ বিভিন্ন মাদক নিয়ে কথা বলা হয়েছে।  প্রয়াত অভিনেতার ফোন, মেসেজ, হোয়াটস অ্যাপের কথপোকথন প্রকাশ্যে না এনে, কেন তাঁদের প্রত্যেকের মোবাইলের ফোনের সমস্ত তথ্য় প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে,তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রিয়া চক্রবর্তী। 

.