প্রয়াত রাজেশ খান্না
"জন্ম মৃত্যু সবই ঈশ্বরের হাতে, তিনিই জীবনের রঙ্গমঞ্চের সবথেকে বড় পরিচালক। আমরা সেখানে অসহায়"- হাসিমুখে এই কথা বলে মৃত্যুবরণ করেছিলেন দূরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত আনন্দ। আর নিয়তির অমোঘ পরিহাসে ক্যানসারেই প্রয়াত হলেন, হৃষিকেশ মুখার্জির ক্ল্যাসিকের নাম-ভূমিকায় অবতীর্ণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম সুপারস্টার।
"জন্ম মৃত্যু সবই ঈশ্বরের হাতে, তিনিই জীবনের রঙ্গমঞ্চের সবথেকে বড় পরিচালক। আর আমরা তাঁর হাতের কাঠের পুতুল, তিনিই আমাদের চালনা করেন, আমরা সেখানে অসহায়।" হাসিমুখে এই কথা বলে মৃত্যুবরণ করেছিল দূরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত আনন্দ। আর নিয়তির অমোঘ পরিহাসে ক্যানসারেই প্রয়াত হলেন, হৃষিকেশ মুখার্জির ক্ল্যাসিকের নাম-ভূমিকায় অবতীর্ণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম সুপারস্টার। বুধবার দুপুরে রাজেশ খান্নার জীবনাবসানের সঙ্গেই শেষ হল বলিউডের এক অধ্যায়।
১৯৪২ সালের ২৯ ডিসেম্বর, পঞ্জাবের অমৃতসরে জন্ম গ্রহণ করেন রাজেশ। পিতৃদত্ত নাম ছিল যতীন। ১৯৬৫ সালে সেলুলয়েডের দুনিয়ায় যাত্রা শুরুর পর নাম বদলে হন রাজেশ। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একের পর এক সুপারহিট ছবি দিয়েছেন তিনি। মন জয় করেছেন তাঁর দর্শকদের। তাঁর অভিনীত ১৬৩টি ছবির তালিকায় রয়েছে, অমরদীপ, আনন্দ, আরাধনা, মেহবুবা, কুদরত, কাটি পতঙ্গ, বাওয়ারচি, নমক হারাম প্রভৃতি।
ফিল্ম জগতের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক জীবনেও তিনি ছিলেন উজ্জ্বল। ১৯৯১ সালে লালকৃষ্ণ আডবাণীর ছেড়ে দেওয়া নিউ দিল্লি কেন্দ্র থেকে লোকসভার উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে দাড়িয়েছিলেন রাজেশ। হারিয়েছিলেন, বিজেপির প্রার্থী বলিউডের তাঁরই সহকর্মী শত্রুঘ্ন সিন্হাকে।
বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। গত ২৩ জুন পেটের সংক্রমণ নিয়ে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জানা যায় ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। কয়েকদিন চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তাঁর জামাতা অক্ষয়কুমার জানিয়ে দেন তিনি অনেকটাই সুস্থ।
তারপর আবারও অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভর্তি হন হাসপাতালে। গতকাল হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন রাজেশ খান্না। তাঁর অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক বলে বাড়িতেই সারাক্ষণ তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন চিকিত্সকেরা। শেষ সময় পাশে ছিলেন স্ত্রী ডিম্পল, দুই মেয়ে টুইঙ্কল ও রিঙ্কি-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। আগামীকাল বেলা ১১টায় মুম্বইয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে রাজেশ খান্নার।