Rachana Banerjee: পিতৃহারা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, শোকে বিহ্বল অভিনেতা
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিদি নম্বর ওয়ানের (Didi No.1) মঞ্চে সকলের দুঃখ ভাগ করে নেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee), মুখে সবসময় লেগে থাকে হাসি। কারণ জীবনে সবসময় ইতিবাচক থাকতেই ভালোবাসেন তিনি। এহেন রচনার জীবনে নেমে এসেছে একরাশ দুঃখ। সোমবার পিতৃহারা হয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়াত অভিনেতার বাবা রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
দীর্ঘদিন বার্ধক্য জনিত কারণে ভুগছিলেন রচনার বাবা। গোলপার্কের এক বহুতলে থাকতেন তিনি। রবিবার রাত থেকেই শরীর খারাপ হতে শুরু করে। সোমবার বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সোমবারই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। বাবা ছিলেন রচনার বন্ধুর মতো। স্বভাবতই বন্ধুসম বাবাকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ নায়িকা। বাবার জীবন দর্শনেই উদ্বুদ্ধ রচনা। অন্যান্য দিনের মতোই নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলেন অভিনেতা, অনেক কমিটমেন্টও ছিল। কিন্তু আচমকাই বাবর প্রয়াণে সমস্ত পরিকল্পনা বাতিল করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Rajkummar-Patralekha: লাল লেহেঙ্গা, হাতে শাঁখা পলা, বিয়ের পিঁড়িতে সাবেকি সাজে রাজকুমারের বাঙালি বৌ
বড়পর্দা থেকে শুরু করে ছোটপর্দা, জনপ্রিয়তার নিরিখে তিনি সমসাময়িক নায়িকাদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। সিনেমার বাইরে তাঁর এই জনপ্রিয়তা এসেছে দিদি নম্বর ওয়ান শোয়ের মাধ্যমে। বছরের পর বছর ধরে চলা এই শোয়ের মাধ্যমে দর্শকদের ড্রয়িংরুমের অন্যতম পছন্দ নাম রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঞ্চালনায় মুগ্ধ দর্শক। সম্প্রতি শুরু করেছেন শাড়ির ব্যবসা। বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য নিয়ে কাজের তাগিদেই এই ব্যবসা শুরু করেন নায়িকা। এর জেরে সোস্য়াল মিডিয়ায় ট্রোলও হতে হয়েছে তাঁকে। তবে জীবনের প্রতি তাঁর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে এগিয়ে নিয়ে গেছে সাফল্যের চূড়ায়। জীবনে ইতিবাচক থাকার এই মন্ত্র বাবার থেকেই শিখেছেন নায়িকা।