Puneeth Rajkumar: না ফেরার দেশে পুনিত রাজকুমার, এখনও ভাইপোর ফেরার অপেক্ষায় সুপারস্টারের ৯০ বছরের পিসি
নগমা হলেন ডঃ রাজকুমারের ৯০ বছর বয়সী দিদি, পরিবারের সবচেয়ে প্রবীণ সদস্য। পুনিত অর্থাৎ আপ্পু তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ভাইপো। প্রায়ই গাজানুরে তাঁদের পৈতৃক বাড়িতে পিসির সঙ্গে দেখা করতে যান পুনিত। গত ৫ মাসে বারবার তাঁর খোঁজ করেছেন বৃদ্ধা পিসি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২৯ অক্টোবর, ২০২১। কন্নড় সিনেমার (Kannad Cinema) জগতে বিনা মেঘে বজ্রপাত। আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন পুনিত রাজকুমার(Puneeth Rajkumar)। তাঁকে শেষ দেখা দেখতে সেদিন বেঙ্গালুরুর রাস্তায় তাঁর অগণিত ভক্তের ঢল নেমেছিল। চোখের জলে পুনিত রাজকুমারকে বিদায় জানিয়েছিলেন তাঁর ফ্যানেরা। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে তাঁর এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি অনেক অনুরাগীই। প্রিয় তারকার মৃত্যুতে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন তাঁর ৭ অনুরাগী, তাঁদের মধ্য়ে ৩ জন প্রিয় তারকার মতোই চক্ষুদান করেছিলেন। পুনিতের মৃত্যুর প্রায় ৫ মাস অতিক্রান্ত কিন্তু এখনও তাঁর পিসি নগমা জানেনই না যে তাঁর ভাইপো পরলোক গমন করেছেন।
সূত্রের খবর, নগমা হলেন ডঃ রাজকুমারের(Dr. Rajkumar) ৯০ বছর বয়সী দিদি, পরিবারের সবচেয়ে প্রবীণ সদস্য। পুনিত অর্থাৎ আপ্পু তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ভাইপো। প্রায়ই গাজানুরে তাঁদের পৈতৃক বাড়িতে পিসির সঙ্গে দেখা করতে যান পুনিত। গত ৫ মাসে বারবার তাঁর খোঁজ করেছেন বৃদ্ধা পিসি। প্রত্যেকবারই তাঁকে বলা হয়েছে বিদেশে শুটিং করতে গেছে পুনিত। খুব শীঘ্রই সে ফিরে আসবে। তারপরই পুনিতের ছবি চালিয়ে দেন পরিবারের সদস্যরা, যা দেখে খুশি হয়ে যান তিনি। কারণ কিছু বছর আগে যখন পুনিতের দাদা রাঘবেন্দ্র রাজকুমার(Raghavendra Rajkumar) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সে খবর শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পিসি। তাঁকে তড়িঘড়ি ভর্তি করতে হয়েছিল হাসপাতালে।
পরিবারের সকলে ঘিরে থাকেন পুনিতের পিসিকে। বাড়িতে পুনিতের কোনও ছবিতে মালা দেওয়া হয় না। এমনকি তাঁর সঙ্গে যাঁরা দেখা করতে আসেন, সেই সব আত্মীয় স্বজনদেরও বলা হয়েছে তাঁরা যেন ঘুণাক্ষরেও পুনিতের কথা না বলে। সম্প্রতি নগমার সঙ্গে দেখা করেন পুনিতের দাদা। তিনিও অতি সন্তর্পনে এড়িয়ে যান পুনিতের কথা। এখনও পুনিতের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তাঁর বৃদ্ধা পিসি। বিদেশ থেকে ফিরে কখনও সে ছুটে আসবে প্রিয় পিসির কাছে, অপেক্ষা দীর্ঘতর হচ্ছে, পিসি তো জানেনই না তাঁর আদরের আপ্পু তাঁকে না জানিয়েই না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছে, যেখান থেকে ফেরা অসম্ভব।