Classical Music: সেতারবাদক পণ্ডিত কুশল দাসের সংগীতজীবনের ৬০ বছর পূর্তি, উদ্যোগে শিষ্যরা...
Pt. Kushal Das: চার বছর বয়স থেকে সংগীতের তালিম নিতে শুরু করেছিলেন পণ্ডিত কুশল দাস, দেখতে দেখতে সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। ২০২০ সালে ভারত সরকার তাঁকে সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করেছেন। তাঁর ৬০ বছরের সাঙ্গীতিক জীবনের উদযাপনের আয়োজন করেন তাঁরই শিষ্যরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতে এক অন্যতম দিকপাল সেতারবাদক পণ্ডিত কুশল দাস। সেই চার বছর বয়স থেকে সংগীতের তালিম নিতে শুরু করেছিলেন। এ-বছর এই প্রবাদপ্রতীম সেতার বাদকের সংগীত জীবনের ৬০তম বছর পূর্তি। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে যে কজন বিশারদ বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন, পণ্ডিত কুশল দাস তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ২০২০ সালে ভারত সরকার তাঁকে সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করেছেন।
মায়েস্ত্র কুশল দাসের জন্ম সঙ্গীত পরিবারেই। তাঁর বাবা পণ্ডিত রবি শঙ্করের শিষ্য, কাকা উস্তাদ আলি আকবর খানের শিষ্য। স্বাভাবিকভাবেই ছোট থেকেই কুশল দাসের রাগ-রাগিনীর ওপর অমোঘ টান। তিনি প্রথম নাড়া বাঁধেন পণ্ডিত সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে,পরে পণ্ডিত অজয় সিনহা রায়ের কাছে তালিম নেন। শুধু সেতার নয়, শাস্ত্রীয় সংগীতেরও তালিম নেন তিনি। মূলত তিনি মাইহার ঘরানার হলেও সব ঘরানার প্রতি তাঁর অগাধ ভালবাসা। বিশ্ববিখ্যাত সেতাররবাদক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে বার বার।
প্রবাদপ্রতীম সেতারবাদকের সংগীতজীবনের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কলাশ্রী মিউজিক সার্কেল ২৯জুলাই সাউথ সিটির মিনি ব্যাংকয়েট হলে এক মনোজ্ঞ শাস্ত্রীয় সংগীতের আয়োজন করেছে। পণ্ডিতজির শিষ্যরাই এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা। গুরুপূর্ণিমার সময়ে এ তাঁদের গুরুপ্রণাম। পণ্ডিতজীর উজ্জ্বলতম শিষ্যরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। হল ভর্তি লোকের সামনে তাঁদের এতদিনের সাধনা গুরুজীকে নিবেদন করার সুযোগ মিলবে। থাকছে ভারতনাট্যম, সরোদ বাজনা, সেতারের ঝংকার।
আরও পড়ুন- Nusrat Jahan: ‘ভোটে মানুষ মরছে আর MP জুয়া খেলার রিল বানাচ্ছে’ তুমুল ট্রোলড নুসরত জাহান...
সবশেষে থাকছে চমক। পণ্ডিত কুশল দাস এবং তাঁর সুযোগ্য পুত্র কল্যানজিৎ দাসের সেতার যুগলবন্দি। কল্যানজিৎ ইতোমধ্যেই বাজিয়ে হিসাবে দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছেন। পিতা-পুত্রের যুগলবন্দি শোনার জন্য কলকাতা অপেক্ষা করছে। পন্ডিত কুশল দাস মনে প্রানে বিশ্বাস করেন "সংগীত আমার পেশা নয়, এই সংগীতের মাধ্যমেই আমি সারা পৃথিবীতে প্রেম-ভালবাসা-শান্তির বানী ছড়িয়ে দিতে চাই।" ২৯ জুলাই সেই প্রেম-শান্তির বাণী ঝংকৃত হবে পণ্ডিতজীর সেতার-বাদনে, সাক্ষী থাকবে কলকাতা।