Prabhat Roy: ‘স্ত্রীয়ের মৃত্যুর পর দু-একজন বাদে ইন্ডাস্ট্রির কেউ খবর নেয়নি, সব অকৃতজ্ঞ!’
Prabhat Roy: সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রায় ১৫ জন নতুন ছেলে মেয়েকে সিনেমায় সুযোগ দিয়েছি। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা, টোটা থেকে শুরু করে শুভশ্রী, সায়ন্তিকা। তারমধ্যে তিনজন আমাকে মনে রেখেছে। ঋতুপর্ণা, টোটা, সায়ন্তিকা ছাড়া বাকি সব অকৃতজ্ঞ। একটা খোঁজও নেয়না।’
Prabhat Roy, শুভঙ্কর চক্রবর্তী: গত এপ্রিলেই স্ত্রীকে হারিয়েছেন পরিচালক প্রভাত রায়। স্ত্রীকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন পরিচালক। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মনখারাপের কথা শেয়ার করলেন তিনি। তবে এবার তাঁর আক্ষেপ পরিবারকে নিয়ে নয়, ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু তারকাদের নিয়ে। স্ত্রীয়ের মৃত্যুর পর কেউ খোঁজ নেয়নি বলেই দাবি তাঁর। টলিউডে এক ঝাঁক তারকাকে সিনেমায় লঞ্চ করেছেন তিনি, তাঁর হাত ধরেই এই ইন্ডাস্ট্রি পেয়েছে একাধিক সুপারস্টার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে যখন ইন্ডাস্ট্রি থেকে কিছুটা দূরত্ব বেড়েছে তাঁর তখন অনেকেই তাঁকে কার্যত ভুলেই গেছেন বলে নিজের খারাপ লাগা শেয়ার করেছেন প্রভাত রায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রায় ১৫ জন নতুন ছেলে মেয়েকে সিনেমায় সুযোগ দিয়েছি। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা, টোটা থেকে শুরু করে শুভশ্রী, সায়ন্তিকা। তারমধ্যে তিনজন আমাকে মনে রেখেছে। ঋতুপর্ণা, টোটা, সায়ন্তিকা ছাড়া বাকি সব অকৃতজ্ঞ। একটা খোঁজও নেয়না।’ জি ২৪ ঘণ্টার তরফ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সবাই বৌদি বৌদি করত, কিন্তু সে মারা যাওয়ার পর কেউ খবর নিতেও আসেনি। প্রসেনজিৎ আসবে বলেছিল কিন্তু আসেনি। জিৎকে জানিয়েছিলাম সেও আসেনি। এটাই আমার খারাপ লাগা। ওঁর পারলৌকিক কাজেও কেউ আসেনি। এসেছিলেন রঞ্জিতদা, যাকে আমি বলিইনি। ঋতুপর্ণা আর টোটা বাড়ি এসে দেখা করে গেছে। সায়ন্তিকা বারবার ফোন করে খবর নিয়েছে। কিন্তু আর কেউ এলো না। বৌদি এত ভালোবাসত, এত স্নেহ করত, কেউ মনে রাখল না।’
পরিচালকের পোস্টের কমেন্টে কবীর সুমন লেখেন, ‘বন্ধু প্রভাত, তুমি এই অধমকেও সুযোগ দিয়েছিলে সেদিন চৈত্রমাস ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করার, ছবির গান লেখার ও সুর করার। এবং আমায় সম্মান দিয়েছিলে। কোথাও বাধা দাওনি, কৈফিয়ৎ চাওনি। এসো, প্রভাত, আর একবার দুজনে একসঙ্গে কাজ করি। এবারে বুড়ো হাড়ের ভেল্কি দেখাই। তুমি যখন বলবে আমি তৈরি।‘ প্রত্যুত্তরে প্রভাত রায় লেখেন, ‘বন্ধু, তোমার মতো শিল্পী, তোমার মতো গুনী মানুষ আমার সঙ্গে কাজ করেছিলে সেটা আমার সৌভাগ্য। আর আমি যাদের কথা বলছি তারা তো তখনো বা়ংলায় "অ-আ-ক-খ" বলতে শেখেনি। আমার ছবি করার পরেই ইংরেজি বলতে শুরু করলো। যাকগে, হ্যাঁ আবার তোমার সঙ্গে কাজ করতে খুব ইচ্ছে হয়, দেখা যাক। আসলে সুযোগ-সুবিধে কোনোটাই তো আমার ইচ্ছেতে আমার পাশে এসে দাঁড়াবে না’।
এরপর ফের কবীর সুমন লেখেন, ‘প্রভাত, আমি সিরিয়াসলি বলছি। দুজনেরই বয়স হয়েছে। জীবনসায়াহ্নে দুজনে মিলে একটা কাজ করলে একটা অন্য মাত্রা আসবে। কার কাছে যাওয়া যায়, কাকে বলা যায়। তুমি আমি হাত মেলালে প্রযোজকের টাকা উঠে তো আসবেই, লাভও হবে। তুমি ছাড়া আর কে পারবে? একটা সহজ সুন্দর প্রেমের গল্প। তুমি যদি বলো কার দরজায় যেতে হবে, আমি যাবো।‘ সত্যিই কী তাঁরা নতুন ছবির পরিকল্পনা করবেন। প্রভাত রায় বলেন, ‘হলে তো ভালোই হয় কিন্তু সব তো আমার হাতে নেই।’ সেই পোস্টের কমেন্টে অনীক দত্ত লিখেছেন, ‘আপনি এসব আশা করেন প্রভাতদা? খোঁজ ঠিক নেবে যদি দরকার পড়ে। কাজের বেলায় কাজি, কাজ ফুরালেই কিষেনজি। এই তো সবাই দেখছে, শিখছে।’