Moulali Intally Talkies: নেই ইন্টালি টকিজ, নেই সিনেমা হলের পরী! শহরে বন্ধ হচ্ছে আরও এক সিঙ্গল স্ক্রিন
আবার বন্ধ হচ্ছে কলকাতার আরও এক সিঙ্গল স্ক্রিন। ইতিমধ্যেই ইম্পাকে একথা জানিয়েছে ইন্টালি টকিজের মালিক পক্ষ। এক সময় জনপ্রিয় হলেও করোনার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি শহরের অন্যতম পুরনো এই সিনেমা হল। অবশেষে থিয়েটার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শহরে বন্ধ হওয়ার পথে এক সিঙ্গল স্ক্রিন। শহরের অন্যতম পুরনো সিঙ্গল স্ক্রিন থিয়েটার ইন্টালি টকিজ একেবারে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ডাঃ সুরেশ সরকার রজ থেকে কিছুটা দূরের এই সিনেমা হলে হিন্দি ছবির ভিড় কম হত না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দর্শকাসন খালি হতে থাকে। যে কফিনে শেষ পেরেকট ছিল করোনা। কোভিডের ধাক্কায় সামনে এখনও ঠিক করে দাঁড়াতে পারেনি সিনেমা। সম্প্রতি ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচারসকে সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানায় ইন্টালি টকিজ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন, Salman Khan: ওয়ার্ল্ড হটেস্ট ম্যান! শার্টলেস ৫৭-র সলমানকে দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটপাড়ার...
ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত এক জাতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানাম, সিনেমা হলের তরফে একটি চিঠি দিয়ে ইম্পাকে জানানো হয় '২০২২ সালের ২সেপ্টেম্বর থেকে সিনেমা হল ইউনিট বন্ধ' করে দেওয়া হচ্ছে। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি চিঠি পাঠিয়ে আমাদের বলেছে তাদের ইম্পার সদস্যপদ যেন বাতিল করা হয়। পিয়া সেনগুপ্ত আরও বলেন, 'আমরা সেটা মেনে নিয়েছি।' বছর দেড়েক আগেও মৌলালি ক্রসিংয়ের থেকে ওই রাস্তা দিয়ে যে কেউ হেঁটে গেলে ইন্টালি টকিজের ছাদে ছোট্ট পরী চোখে পড়তই। আজ সেই টকিজও নেই, পরী ছাদ থেকে উধাও হয়ে গেছে। জরাজীর্ণ সিনেমা একটি কোলাপসিবল গেটের আড়ালে কেবল দাঁড়িয়ে আছে উপেক্ষার ছবি।
যার সামনে ঝুলছে একটি নোটিস। যাতে লেখা, অনধিকার প্রবেশ নিষেধ। এমনকী লেখা রয়েছে এটি এখন ডেলপ্রো এনক্লেভ প্রাইভেট লিমিটেডের সম্পত্তি। পরিত্যক্ত সিনেমা হলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীর সিনেমা হলের অবস্থা সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। একসময় অনেক বড় বড় বলিউড হিট দেখার স্মৃতি রয়েছে এখানে। হরেন্দ্র কৃষ্ণ দাস এই সিনেমা প্রতিষ্ঠা করেন। অনেকে বলছেন, হাওড়ায় তাঁর আর একটি সিনেমা হলও ছিল।
১৯৬৭ সালে দিলীপ কুমারের 'রাম ঔর শ্যাম', ১৯৬৯ -এ শর্মিলা ঠাকুর-রাজেশ খান্নার 'আরাধনা' এবং ১৯৭১ -এ রাজেশ খান্না অভিনীত 'হাথি মেরে সাথী' ছবি দারুণ চলেছিল ইন্টালি টকিজে। আশপাশের এলাকায় আরও তিনটি সিঙ্গল স্ক্রিন - জেম, জগৎ ও তাসবীরে দর্শকের সংখ্যা মন্দ নয়। এসএন ব্যানার্জি রোডের অনতিদূরেই ছিল লোটাস সিনেমা। 'শোলে' মুক্তি পেয়েছিল কেবল জেম আর ইন্টালি-তে। অথচ জগৎ ছাড়া বাকি সব সিনেমা এখন বন্ধ।