#NoMoreAbhagi: 'ও অভাগী' ছবির আয় থেকে গরীব-অনাথ শিশুদের চিকিত্সার ব্যবস্থা, অভিনব উদ্যোগ প্রযোজক ডাঃ প্রবীর ভৌমিকের
Doctor As Producer: সম্প্রতি ডাঃ প্রবীর ভৌমিকের প্রযোজনায়, অনির্বাণ চক্রবর্তীর পরিচালনায় শরৎ চন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের 'অভাগীর স্বর্গ গল্প' অবলম্বনে রিলিজ হয়েছে 'ও অভাগী'। সেই ছবির বক্স অফিস কালেকশন থেকে অনাথ ও গরীব শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার আয়োজন করেছেন এই ছবির প্রযোজক। কেন এই উদ্যোগ নিলেন তিনি?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে রাফিয়াত রশিদ মিথিলা(Rafiath Rashid Mithila) অভিনীত 'ও অভাগী'(O Abhagi)। শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'অভাগীর স্বর্গ' অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ছবি। এই সিনেমাকে শুধুমাত্র একটি সিনেমা হিসাবেই নয়, সামাজিক সচেতনতা ও সার্বিক মানবিকতার এক আঙ্গিকে তুলে ধরা হয়েছে এই ছবি। কারণ এই ছবির নেপথ্যে যিনি আছেন তিনি পেশায় একজন চিকিত্সক। তিনি প্রখ্যাত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রবীর ভৌমিক(Dr.Prabir Bhaumik) |
ডাঃ প্রবীর ভৌমিক গ্রামবাংলায় প্রথম শিশুদের হাসপাতাল, কোলাঘাট শুশ্রূষা শিশু সেবা নিকেতন স্থাপন করেন, যেখানে গরীব শিশুদের জন্য ২০% বেড বিনামূল্য প্রদান করা হয়। এছাড়াও পথশিশুদের পাশাপাশি অনাথ শিশুদের জন্যেও বিনামূল্যে চিকিৎসার সুব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। চিকিৎসকের পেশার পাশাপাশি উনি দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন। সম্প্রতি ডাঃ প্রবীর ভৌমিকের প্রযোজনায়, অনির্বাণ চক্রবর্তীর পরিচালনায় শরৎ চন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের 'অভাগীর স্বর্গ গল্প' অবলম্বনে রিলিজ হয়েছে 'ও অভাগী'।
ইতোমধ্যেই চলচ্চিত্রটি প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি অনেকগুলি ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রদর্শিত হওয়ার জন্য মনোনীতও হয়েছে। এই সিনেমাটি নির্মাণের নেপথ্যে ওঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল বৃহৎ পরিসরে সমাজ সেবা করা। ইতিমধ্যেই উনি আটটি গ্রামকে দত্তক নিয়েছেন এবং একটি অনাথ আশ্রমও পরিচালনা করছেন। আরও বেশী সেবামূলক কর্মের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার নিরলস প্রচেষ্টা উনি করে চলেছেন এবং ওঁর প্রধান প্রতিষ্ঠান, আই. সি. এইচ(ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ)-এর নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে সহায়তা করতে চান।
আরও পড়ুন- Save Electricity Bill: সকাল-বিকেল চলছে AC, এই ট্রিকে কমান ইলেকট্রিক বিল...
ডাঃ প্রবীর ভৌমিক জানান যে তাঁর স্বর্গীয় বাবা শ্রী দেবেন্দ্রনাথ ভৌমিকের নামে একটি শিশু বিভাগ গড়ে তুলতে চান, যাতে আজকের এই যুগে কোনো শিশুই অর্থাভাবের কারণে অভাগীর মত জীবন না হারায়। এই অভিপ্রায়ের বার্তাটি আরো বেশী সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছাক, অনেক বেশী সংখ্যক মানুষ থিয়েটারে গিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখুন এবং এই ছবি সফল হোক, সকলের আশীর্বাদ চেয়েছেন তিনি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)