নাইজেল এবার দক্ষিণে

প্রথম ছবি মুক্তধারার সাফল্যের পর প্রচারের আলো থেকে দূরেই ছিলেন নাইজেল আকারা। তবে ছবির প্রস্তাব আসছিলই। বাংলা ছবিতে আত্মপ্রকাশের পর এবার দক্ষিণী ছবিতে মন দিলেন নাইজেল। চলতি মাসেই শুরু হবে মালায়লি পরিচালক এম পদ্মকুমারের ছবির শুটিং।

Updated By: Jan 7, 2013, 09:57 PM IST

প্রথম ছবি মুক্তধারার সাফল্যের পর প্রচারের আলো থেকে দূরেই ছিলেন নাইজেল আকারা। তবে ছবির প্রস্তাব আসছিলই। বাংলা ছবিতে আত্মপ্রকাশের পর এবার দক্ষিণী ছবিতে মন দিলেন নাইজেল। চলতি মাসেই শুরু হবে মালায়লি পরিচালক এম পদ্মকুমারের ছবির শুটিং।
এই ছবিতে এক জমিদার, ওড়িষার ভূমিকায় দেখা যাবে নাইজেলকে। "পরিচালক নিজেই আমাকে ছবির প্রস্তাব দিয়েছেন। আমাকে আলাদা করে অডিশন দিতে হয়নি। ছবির মহরতে এসেই আমি সহ অভিনেতাদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি", জানালেন নাইজেল। রাগের মাথায় অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার কথাও একদা শোনা গিয়েছিল নাইজেলের গলায়। তবে এবার নিজেই শুধরে নিলেন তিনি। বললেন, "আমি মুক্তধারা টুতে অভিনয় করব না বলেছিলাম। অন্য ছবির ব্যাপারে বলিনি। এরকম অনেক ছবির প্রস্তাব পেয়েছি যেখানে আমকে ভিলেনের চরিত্র অভিনয় করতে হবে। কিন্তু আমি এরকম কোনও চরিত্র করতে চাই না যেখানে আমাকে হিরোর সঙ্গে মারামারি করতে হবে বা হিরোইনকে অপহরণ করতে হবে। আমি সরফরোশ ছবিতে নাসিরুদ্দিন শাহর চরিত্রর মতো কোনও রোল বা ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বইয়ের মতো ছবিতে অভিনয় করতে চাই। দর্শক আমার কাজের থেকে আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে বেশি আগ্রহী। দক্ষিণে ছবি করার সুবিধা হল ওখানকার পরিচালকরা আমাকে কেউ জেল খাটা আসামী হিসেবে পরিচিত করান না"।
নাইজেলের সঙ্গে ছবিতে রয়েছেন মালায়লি অভিনেতা উন্নি মুকুন্দন ও অভিনেত্রী সানিকা নাম্বিয়ার। আগামী ১২ তারিখ থেকে শুরু হবে শুটিং। নাইজেলকে নিজের ছবিতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত পরিচালক পদ্মকুমারও। বললেন, "নাইজেলের ব্যাপারে আমি এখানকার এক স্থানীয় সংবাদপত্রে একটা লেখা পড়েছিলাম। তখন থেকেই ভেবে নিয়েছিলাম ওকে আমার ছবিতে নেব। ওড়িষার চরিত্র দর্শকদের ২৫ বছর আগের এক জমিদার পরিবারের ইতিহাস বলবে।
পদ্মকুমারের ছবিতে অভিনয় করলেও খুব বেশি ছবিতে অভিনয় করতে চান না নাইজেল। নিজের সিকিউরিটি এজেন্সির জন্য বাদল চন্দ্র সাহা ও গৌতম মণ্ডল নামে দুই প্রাক্তন আসামীকে ম্যানেজার পদে নিযুক্ত করেছেন। "এখনও পর্যন্ত আমি ৪০ জন আসামীর পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। তার মধ্যে ১৬ জন আমার সঙ্গে কাজ করেছে। এখন জেলের অফিসার আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন আমি এজেন্সিতে কাউকে নিতে চাই কি না। বাকিরাও আমার সঙ্গে বা ম্যাডামের(অলোকানন্দা রায়) সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। এঁদের মধ্যে অনেকে আমার সঙ্গে বাল্মীকি প্রতিভায় অভিনয় করেছিলেন। এখন যখন আমি ওদেরকে ট্রেনিং দিয়ে নিয়েছি, আমি অভিনয়ে মনযোগ দিতে পারছি। অভিনয়কে পার্ট টাইম হিসেবে নেওয়ার কোনও মানে হয় না। ফেব্রুয়ারিতেই পরের বাংলা ছবি সাইন করছি আমি"।

.