'গেন্দা ফুল'এ বাঙালি নারী ও বঙ্গ সংস্কৃতিকে অসম্মানের অভিযোগে FIR

'গেন্দা ফুল' মিউজিক ভিডিয়োতে বাঙালি মহিলাদের এবং বাংলার সংস্কৃতিকে অসম্মান করার অভিযোগ... 

Reported By: অঞ্জন রায় | Edited By: রণিতা গোস্বামী | Updated By: Apr 4, 2020, 10:04 PM IST
'গেন্দা ফুল'এ বাঙালি নারী ও বঙ্গ সংস্কৃতিকে অসম্মানের অভিযোগে FIR

নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের বিতর্ক ও বিপাকে বাদশার 'গেন্দা ফুল'। মিউজিক ভিডিয়ো 'গেন্দা ফুল'-এ বঙ্গ নারী ও সংস্কৃতিকে অসম্মান করা হয়েছে। এই অভিযোগে বাদশা সহ 'গেন্দা ফুল' অ্যালবামের প্রযোজক, পরিচালক ও খ্যাতনামা একটি মিউজিক কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আত্মদীপ। 

 শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে 'আত্মদীপ'-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এবিষয়ে 'আত্মদীপ' সভাপতি প্রসূন মৈত্র জানান, ''ওরা যে গেন্দা ফুল নাম দিয়ে ভিডিয়ো অ্যালবাম করেছে, তাতে ধুনুচি নাচ ও বাঙালি মহিলাদের খুব অশ্লীলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই বিষয়ে আমি প্রথমে বাদশাকে টুইটারে সতর্ক করেছিলাম। বলেছিলাম, আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে আপনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেব। তবে বাদশা এখনও পর্যন্ত ক্ষমা চাননি। তাই আমাদের পক্ষ থেকে আজ (শনিবার) থানায় FIR করা হয়েছে। এর জন্য আমরা আইনি পদক্ষেপ যা নেওয়ার নেব। কারণ, গানের ভাষায় যে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তা কুরুচিকর। এছাড়া মিউজিক ভিডিয়োতে দুর্গা প্রতিমার সামনে আরতিকেও ভীষণই আপত্তিকর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।''

আরও পড়ুন-'আর্থিক সাহায্য পেলে সংসারটা বেঁচে যেত', বললেন রতন কাহার

আরও পড়ুন-'আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার আর্থিক সামর্থ্য নেই', 'বড়লোকের বিটি লো' নিয়ে আক্ষেপের সুর রতন কাহারের

তাঁদের এই 'আত্মদীপ' নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি মূলত মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে বলে জানান সংস্থার সভাপতি প্রসূন মৈত্র। প্রসঙ্গত, বাদশার গেন্দাফুল গানটি মুক্তি পাওয়ার পরই বিতর্কের শিরোনামে ওঠে। গানটিতে বাঙালি লোকশিল্পী রতন কাহারের 'বড়লোকের বিটি লো' গানের লাইন ব্যবহার করা হলেও তাঁর নাম দেওয়া হয়নি বলে সরব হন অনেকেই। 

.