অতিপ্রাকৃত গল্পো নিয়ে কাহিনি তিনাঙ্ক
অতিপ্রাকৃত কাহিনি নিয়ে ছবি করছেন নবাগত পরিচালক বিথিন দাস। তিনটি ভিন্ন সময়ের গল্পো নিয়ে ছবি তিনাঙ্কো। বিথিনের ছবি বলবে ১৫০ বছরের গল্পো। কাদম্বি, নলিনী ও সোহিনীর গল্পো বাঁধা পড়েছে এক সূত্রে। কাদম্বির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা, নলিনীর চরিত্রে রয়েছেন বিদিতা, সোহিনীর চরিত্রে দেখা যাবে মুমতাজকে।
ওয়েব ডেস্ক: অতিপ্রাকৃত কাহিনি নিয়ে ছবি করছেন নবাগত পরিচালক বিথিন দাস। তিনটি ভিন্ন সময়ের গল্পো নিয়ে ছবি তিনাঙ্ক। বিথিনের ছবি বলবে ১৫০ বছরের গল্পো। কাদম্বি, নলিনী ও সোহিনীর গল্পো বাঁধা পড়েছে এক সূত্রে। কাদম্বির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা, নলিনীর চরিত্রে রয়েছেন বিদিতা, সোহিনীর চরিত্রে দেখা যাবে মুমতাজকে।
ছবির প্রথম অঙ্কে রয়েছে কাদম্বির গল্পো
১৮৭০ সালের নবদ্বীপ। নবদ্বীপের মেয়ে অপরূপ সুন্দরী কাদম্বির প্রেমে পড়েন কলকাতা থেকে গবেষণার কাজে আসা তরুণ অধ্যাপক মৃণাল। বিয়ের পর কলকাতার কলকাতার পরিবেশে এসে পড়ে কাদম্বি। স্বামীর সূত্রে মেলামেশা করতে হয় সমাজের উঁচুতলার মানুষদের সঙ্গে যার সঙ্গে একেবারেই অপরিচিত কাদম্বি। ব্রাহ্ম সমাজে বিশ্বাসী মৃণালের উত্সাহে পড়াশোনা শেখেন কাদম্বি। কিন্তু, তাদের সম্পর্ক পূর্ণতা পায় না বিছানায়। স্বামীর অক্ষমতার কারণে মানসিক যন্ত্রণায় ভোগে কাদম্বি। ১৮৮৮ সালের প্লেগ কেড়ে নেয় মৃণালের প্রাণ। গ্রামে ফিরে যায় বিধবা কাদম্বি। ২০ বছরে কাদম্বি বদলে গেলেও বদলায়নি নবদ্বীপ। শিক্ষিত বিধবা কাদম্বিকে তাই মারা যেতে হয় ডাইনি অপবাদ নিয়ে। তবে মৃত্যুর আগে বট গাছের কাছে ফিরে আসার অঙ্গীকার করে সে...
দ্বিতীয় অঙ্ক বলবে নলিনীর গল্পো
সাল ১৯৬৫
এক বৃষ্টির রাতে একা বাড়ি ফিরছিল জেলে হরণের সুন্দরী বউ নলিনী। হঠাত্ই ঋতুস্রাব শুরু হয় তার। নলিনী আশ্রয় নেয় এক বটগাছের তলায়। অতিপ্রাকৃতিক পরিবেশে হঠাত্ই জেগে ওঠে তার শরীর। পরিবেশের সঙ্গে মিলনোন্মুখ হয়ে ওঠে সে। এদিকে নলিনীকে খুঁজতে বেরোয় হরণ। বট গাছের তলায় অজ্ঞান অবস্থায় আবিষ্কার করে তাকে। এরপর থেকেই কাদম্বির জীবনে বাঁচতে শুরু করে নলিনী। গ্রামের ওপর প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হয়ে ওঠে সে। গ্রামের পুরোহিত গিরিরাজ ও হরণের চেষ্টায় অবশেষে কাদম্বির আত্মা থেকে মুক্তি পায় নলিনী। তবে মরে না কাদম্বির আত্মার প্রতিশোধ স্পৃহা।
তৃতীয় অঙ্ক বলবে সোহিনীর গল্পো
সাল ২০১৪
বিদেশে বড় হওয়া আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সোহিনী কলকাতায় আসে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মহিলাদের নিয়ে গবেষণার কাজে। সব দেশেই মহিলাদের দমিয়ে রাখার গল্পোটা যে একই তা উপলব্ধি করে সে। সহকর্মী অরুণের গ্রামের বাড়ি নবদ্বীপে গিয়ে দেখা হয় পুরোহিত উদয়রাজের সঙ্গে। উদয়রাজ তার হাতে তুলে দেন কাদম্বির ডায়রি...