সুশান্ত মৃত্যু: মাদক কাণ্ডে ধৃত জায়েদ, আবদুলকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে নিল NCB
মাদক কাণ্ডে ধৃত আবদুল বসিত, জায়েদ ভিলাত্রার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল রিয়ার ভাই সৌমিকের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত মামলায় মাদক কাণ্ডে ধৃত আবদুল বসিত, জায়েদ ভিলাত্রাকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে নিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। মাদক কাণ্ডে ধৃত এই দুজনকে বৃহস্পতিবারই আদালতে পেশ করা হয়। জানা যাচ্ছে, আবদুল বসিত ও জায়েদ দুজনেই সৌমিক চক্রবর্তী ও মিরান্ডার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
এদিকে মাদক কাণ্ডে জয়সান নামে আরও একজন পাচারকারীকে NCB গ্রেফতার করেছে বলে খবর। এই জয়সানও সৌমিক চক্রবর্তীকে মাদক সরবরাহ করত। জিজ্ঞাসাবাদের সময় NCB জানতে পারে মুম্বইয়ের একটি পার্কে জয়সানের সঙ্গে মাদক চালান নিয়ে সৌমিকের আলোচনা হয়েছিল।
Mumbai: Zaid Vilatra brought to NCB's (Narcotics Control Bureau) zonal office. He has been sent to NCB custody till 9th September, by Esplanade Court. pic.twitter.com/QYX7Vjw9ur
— ANI (@ANI) September 3, 2020
প্রসঙ্গত, বুধবার ভোরে আবদুল বসিত পরিহারকে বান্দ্রা থেকে আটক করে NCB। মাদক সংক্রান্ত লেনদেনের বিষয়ে রিয়ার ভাই সৌমিক চক্রবর্তীর সঙ্গে আবদুল বসিতের সরাসরি কথাবার্তা হত বলে জানা যাচ্ছে। NCB সূত্রে খবর, আবদুল বসিতের থেকে সরাসরি মাদক কিনত রিয়ার ভাই। এদিকে মঙ্গলবার NCB জায়েদ ভিলাত্রা বলে আরও একজনকে গ্রেফতার করে। আবদুল বসিতই জায়েদের সঙ্গে সৌমিকের পরিচয় করিয়ে দেয়।
মাদক চক্রে NCB-র নজর এখন ২০ বছর বয়সী জায়েদ বিলাত্রার উপর। NCB-র কাছে রয়েছে জায়েদ ও স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গে হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। আবদুল বসিত ও সূর্যদীপ মালহোত্রা নামে দুই ব্যক্তির সঙ্গে জায়েদের চ্যাটও NCB-র হাতে এসেছে। এই দুই ব্যক্তিই সৌমিক চক্রবর্তীর পরিচিত।
সৌমিক ও স্যামুয়েল মিরান্ডার চ্যাট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২০-র ১৭ মার্চ সৌমিক, স্যামুয়েল মিরান্ডাকে জায়েদের নম্বর দিয়েছিলেন। স্যামুয়েল জায়েদকে ১০ লক্ষ টাকায় ৫ গ্রাম ড্রাগ কেনার কথা বলেছিলেন। এরপর স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গে জায়েদের ৩ বার কথা হয়। প্রসঙ্গত স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গে জায়েদ বিলাত্রা ও আবদুল বসিতের দেখাও হয়েছিল। স্যামুয়েল মিরান্ডা বিভিন্ন কর্মীদের, বিভিন্ন সময় জায়েদের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহের জন্য পাঠিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, সুশান্তের আশেপাশে তাঁর কর্মীরা যে মাদকচক্রে যুক্ত সেটা জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদী। যদিও তিনি এই মাদক চক্রের মধ্যে ছিলেন না বলে জানা যাচ্ছে। শ্রুতি মোদী শুধুমাত্র সুশান্তের কাজকর্মই দেখাশোনা করতেন।