৫৫ বসন্ত পেরিয়েও তিনিই পপ সম্রাজ্ঞী

পঞ্চান্নয় পা রাখলেন ম্যাডোনা। অথচ এখনও তিনি যেন সেই তিরিশের কোঠায়। শরীরও যেন তাঁর মনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। সেখানে ক্লান্তি বা বিশ্রামের কোনও জায়গাই নেই। তাই থেমে থাকা নয়। মধ্য পঞ্চাশেও আরও বেশি করে কাজ করতে চান পপ সম্রাজ্ঞী। ফলে বয়স যত বাড়ছে, কাজের বহরও ততই বাড়ছে।

Updated By: Aug 16, 2013, 07:08 PM IST

পঞ্চান্নয় পা রাখলেন ম্যাডোনা। অথচ এখনও তিনি যেন সেই তিরিশের কোঠায়। শরীরও যেন তাঁর মনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। সেখানে ক্লান্তি বা বিশ্রামের কোনও জায়গাই নেই। তাই থেমে থাকা নয়। মধ্য পঞ্চাশেও আরও বেশি করে কাজ করতে চান পপ সম্রাজ্ঞী। ফলে বয়স যত বাড়ছে, কাজের বহরও ততই বাড়ছে।
শুধু ছবি পরিচালনা বা বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কাজই নয়। চার সন্তানকে লালনপালন করেও সঙ্গীত দুনিয়ায় নিজের জায়গাটা ধরে রাখতে পেরেছেন ম্যাডোনা। আজও পপ সঙ্গীতের যে কোনও চার্টবাস্টারে পয়লা নম্বর তিনিই। এখনও তাঁর লাইভ কনসার্ট মানেই হাউসফুল। বয়স যেমন থামেনি, তেমনই কমেনি ভক্তদের উন্মাদনা। এখনও রেডকার্পেট কিম্বা মার্জারসরণীতে স্পটলাইটে থাকেন ম্যাডোনা। গতবছর তিনি যেসব কনসার্টে অংশ নিয়েছিলেন, তার টিকিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি। প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ তাঁর অনুষ্ঠান দেখেছেন।

তাঁর জীবনটা বদলে দিয়েছিল মা ম্যাডোনা ল্যুইসের অকাল মৃত্যু। এরপরের বছরগুলিতে কিছুটা বেপরোয়াভাব তাঁর স্বভাবে বসে গিয়েছিল। ২০ বছর বয়সে নিউ ইয়র্কে কেরিয়ারের শুরুটা হয়ে গেল। প্রতিষ্ঠিত নৃত্য শিল্পীদের বদলি হিসেবে। ২১ বছর বয়সেই গড়ে তুললেন ব্রেকফাস্ট ক্লাব। এরপর ব্রেকফাস্ট ক্লাব ছেড়ে এমি। ১৯৮২ সালে প্রথম একক 'এভরিবডি'। ১৯৮৩তে 'বার্নিং আপ'। দুটি অ্যালবামই সুপার-ডুপার হিট। সে বছরই 'হলিডে'-র মুক্তি এবং পরের বছর 'লাইক এ ভারজিন' বিশ্বখ্যাত করে দিল ম্যাডোনাকে।
এরপর আর ফিরে দেখা নয়। এগিয়ে চলা। ম্যাডোনার পোশাক, গয়না, স্ট্যাইল, পারফরম্যান্স বিপ্লব এনে দিল পপ দুনিয়ায়। পরিবর্তনও এলো কেরিয়ারেও। ১৯৮৫তে। এবার পপ গায়িকা প্রথম ছবিতে অভিনয় করলেন। আর তারপরই হলিউড অভিনেতা সিন পেনকে বিয়ে। বিতর্কের সূত্রপাত এ সময় থেকেই। ম্যাডোনার বেশ কিছু নগ্ন ছবি ছাপা হয় দুটি পত্রিকায়। তবে তাতে দমার পাত্রী নন ম্যাডোনা। মঞ্চে আরও সাহসী হয়ে ওঠেন তিনি। বিয়ের বছরেই জীবনের সেরা সাড়া জাগানো গানটা গেয়ে ছিলেন ম্যাডোনা। পাপা ডোন্ট প্রিচ। এরপর যত সময় গড়িয়েছে, ততই বিখ্যাত হয়েছেন এই পপ গায়িকা। হৃদয় স্পর্শ করেছেন শ্রোতাদের। নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। কখনও ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয়ে বাজিমাত করে দিয়েছেন, কখনও আবার পরিচালক হিসেবে তিনি অনবদ্য। কখনও সমাজকর্মী, কখনও বা চার সন্তানের যোগ্য জননী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন।
এই উত্তরণের কাহিনীতে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে গিয়েছে তাঁর জীবন। বিবাহ বিচ্ছেদ, পুনর্বিবাহ, একের পর এক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্কের গসিপ তো রয়েছেই, তার সঙ্গে যৌনতা আর ম্যাডোনা সমার্থক হয়ে উঠেছে। তবে এখনও তিনি সম্রাজ্ঞীর আসনেই। আজও পপ সঙ্গীতের যে কোনও চার্টবাস্টারে পয়লা নম্বর তিনিই। এখনও তাঁর লাইভ কনসার্ট মানেই হাউসফুল, ঠাসাঠাসি ভিড়। বয়স যেমন থামেনি, তেমনই কমেনি ভক্তদের উন্মাদনা। এখনও রেডকার্পেট কিম্বা মার্জারসরণীতে স্পটলাইটে থাকেন ম্যাডোনা। কারণ তিনি তো ম্যাডোনাই।

.