Lata Mangeshkar Passes Away: নিঝুম সন্ধ্যায় পান্থ পাখিরা ডানা মেলে দেয় লতার গানে!
'একবার বিদায় দে মা'র অন্তর্নিহিত শোক যেন লতার গায়ন বেয়ে ঝরে ঝরে পড়ে।
সৌমিত্র সেন
'প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে'। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরের হাত ধরে লতা মঙ্গেশকরের স্মরণীয় প্রবেশ বাংলাগানের জগতে। এ ছাড়া ছিল সলিল চৌধুরীর সঙ্গে লতার বাংলা গানের বর্ণিল নির্মাণ। সেখানে নানা সুর, নানা ছন্দ, নানা তান।
তবে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ও সলিল চৌধুরীর সঙ্গে নন-ফিল্ম বাংলা গান ছাড়াও বাংলা গানের বৃহত্তর বৃত্তে লতা অনেকের সঙ্গেই কাজ করেছেন। আবার ফিল্মি গানেও এই দুই ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন।
'রঙ্গিলা বাঁশিতে কে ডাকে' এক বহুশ্রুত গান। একেবারে শুরুর বছরেই লতা রেকর্ড করেছিলেন এই গান। গানটির মিউজিক ডিরেক্টর ছিলেন ভূপেন হাজারিকা, গীতিকার ছিলেন পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। লতার গাওয়া আরও এক অতি পরিচিত বহুশ্রুত বাংলা গান হল 'আকাশপ্রদীপ জ্বলে'। স্বয়ং এক উচ্চমানের সঙ্গীতশিল্পী কিন্তু অধুনা প্রায়-বিস্মৃত সতীনাথ মুখোপাধ্যায় ছিলেন এই গানটির রূপকার। তাঁরই সুরে গানটি রেকর্ড করেছিলেন লতা। এটা ১৯৬০ সাল নাগাদ।
লতার বাংলা গানের প্রসঙ্গ উঠলে কি ভোলা যায় ১৯৬৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পীযূষ বসুর 'সুভাষচন্দ্র' ছবিতে তাঁর গাওয়া 'একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি' গানটি? গানটির অন্তর্নিহিত শোক যেন লতার গায়ন বেয়ে ঝরে ঝরে পড়ে। কী অসম্ভব একটা কষ্ট গুমরে ওঠে বুকের ভিতরে। এটি অবশ্য লতার গানের তালিকার সাপেক্ষে তেমন বহুশ্রুত বহুচর্চিত গান নয়। তবে তাতে গানটির শৈল্পিক মূল্যায়ন বিন্দুমাত্র কমে না।
বাংলা ফিল্ম-গানের ক্ষেত্রেও লতা পেয়েছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে। 'মণিহার' ছবিতে হেমন্তের সুরে লতার 'নিঝুম সন্ধ্যায় পান্থ পাখিরা' বা 'আষাঢ়-শ্রাবণ মানে না তো মন'-এর মতো গান আজও শ্রোতাকে তাড়া করে ফেরে। 'অদ্বিতীয়া' ছবিতে হেমন্ত মুখোপাধ্য়ায়ের সুরে 'চঞ্চল মন আনমনা হয় যেই তার ছোঁয়া লাগে' গানটিও এক চিরস্মরণীয় বাংলা ফিল্মগান। গানটিতে হেমন্ত লতার সহ-গায়কও।
আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar Passes Away: লতা-কণ্ঠে নিজেদের গহন আত্মাকে যেন মেলে ধরে এই সব রবীন্দ্রগান