কমল না দূরত্ব সিলসিলার রেশ এবার রাজ্যসভায়ও
একানব্বই আর নিরানব্বই। ব্যবধান মাত্র আটের। আর সেটা যদি বসার আসন হয় তাহলে তো বেশ কাছেই বলতে হবে। কিন্তু এত নৈকট্য না-পসন্দ জয়া বচ্চনের। কারণ দীর্ঘ প্রায় চল্লিশ বছর যাঁকে বারবার এড়িয়ে গেছেন, তাঁর এত কাছে কীভাবে বসা সম্ভব! কারণ তিনি যে রেখা! রেখা রাজ্যসভায় সাংসদ মনোনীত হতেই নিজের আসন বদলের আর্জি জানিয়েছেন জয়া বচ্চন।
একানব্বই আর নিরানব্বই। ব্যবধান মাত্র আটের। আর সেটা যদি বসার আসন হয় তাহলে তো বেশ কাছেই বলতে হবে। কিন্তু এত নৈকট্য না-পসন্দ জয়া বচ্চনের। কারণ দীর্ঘ প্রায় চল্লিশ বছর যাঁকে বারবার এড়িয়ে গেছেন, তাঁর এত কাছে কীভাবে বসা সম্ভব! কারণ তিনি যে রেখা! রেখা রাজ্যসভায় সাংসদ মনোনীত হতেই নিজের আসন বদলের আর্জি জানিয়েছেন জয়া বচ্চন।
রাজ্যসভায় রেখার নাম মনোনীত হওয়ার পরেই শুরু হয়েছিল জল্পনাটা। আর শপথ নেওয়ার আগেই দেখা দিল দিওয়ার। এই ছবিতেই শেষবার দেখা গিয়েছিল অমিতাভ ও রেখাকে।
তারপর আর নয়। আর কোনও রঙ দেওয়া দেই নেই। সৌজন্যে জয়া বচ্চন।
দীর্ঘদিন ধরেই সমাজবাদী পার্টি মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চন। রাজ্যসভায় তিনি বসেন ৯১ নম্বর আসনে। বুধবার রেখা পেয়েছেন ৯৯ নম্বর আসন। অর্থাত্ এবার থেকে রেখা বসবেন ৯৯ নম্বর আসনটিতেই। কিন্তু রেখার এত কাছাকাছি আসতে নারাজ মিসেস বচ্চন। একদা অমিতাভ ঘনিষ্ঠর সঙ্গে দীর্ঘকাল সম্পর্কের পর্দা টেনেছেন জয়া বচ্চন। নতুন করে পর্দা তোলার যে কোনও অভিপ্রায় নেই, তা আরও একবার পরিস্কার করে দিলেন অমিতাভ পত্নী। রাজ্যসভায় নিজের আসন বদল করতে বলেছেন তিনি। দিন কয়েক আগে অমিতাভ টুইট করেছিলেন, রেখার সঙ্গে তাঁর ছবি করতে কোনও আপত্তি নেই। রাজ্যসভায় আসন বদলের ইচ্ছেপ্রকাশ করে স্বামীর নতুন ইচ্ছেতে তাঁর যে মোটেও সায় নেই তাও বোধহয় বুঝিয়ে দিলেন জয়া বচ্চন। তবে আসন পাল্টে কিছুটা দূরত্ব হয়তো বাড়াতে পারবেন মিসেস বচ্চন, কিন্তু মানতেই হবে, অমিতাভ যা পারেননি রাজ্যসভাই তা করে দেখাল। শেষপর্যন্ত চার দেওয়ালে আনা তো গেল জয়া-রেখাকে! এই প্রাপ্তিই বা কম কী!