A মার্কা ভূত

পার্থ প্রতিম চন্দ্র

এদের ভূত মানেই A মার্কা। ভূতের সঙ্গে বিকিনি কিংবা ওই জাতীয় স্বল্প পোশাকের মহিলাদের জুড়ে ভয়ভয় আবহ কাজে লাগিয়ে যৌনতা নিয়ে সিনেমা বানানোই ওদের কাজ। ওদেশের জন বাককুস থেকে এদেশের রামসে ভাইয়রা। ভূতকে অ্যাডাল্ট বন্ধনীতে নামিয়ে দিয়ে আলাদা একটা মাত্রা যোগ করেছেন।

বন্‌ধ দরওয়াজা থেকে ভিরানা। পুরানা হাভিলি থেকে ঘুটান। রামসে ভাইদের সিনেমায় ভূত বেরোয় যৌনতায় সুড়সুড়ি দিতে। দর্শক অপেক্ষা করে থাকে কখন ভূত আসবে, আর যৌনতার ধুপকাঠিতে দেশলাই পড়বে। এই সব সিনেমায় ভূত আসার টাইমিংটা সচিনের ব্যাটিংয়ের থেকে বেশি ঠিকঠাক। সিনেমার নায়িকা রাতের পোশাক পরে ঘুমোতে যাবেন, অমনি হাওয়ার মাধ্যমে ভূত হাজির। আর তারপর মুখোশধারী ভূত আস্তে আস্তে পোশাক খুলতে শুরু করে নায়িকার। ছবির নায়কের থেকেও অনেক বেশি নায়ক হয়ে ওঠে ছবির ভূত। বলিউডের বি গ্রেড সেইসব সিনেমার জন্মের অনেক আগেই অবশ্য হলিউডে ওই মাত্রার বহু সিনেমা তৈরি হয়ে গিয়েছে। হলিউডের বি গ্রেড সিনেমার ভূতেদের কর্মকাণ্ড আবার একধাপ এগিয়ে। যতই হোক হলিউডের ভূত বলে কথা।

ব্যবসার নিরিখে এসব সিনেমার লাভের অঙ্কটা বেশ মোটা। বি গ্রেড তালিকভুক্ত সিনেমায় হলিউডের সবচেয়ে সফল হল ইরোটিক ঘোষ্ট থ্রিলার। আর বলিউডে রামসে ভাইদের সাফল্য তো বলার অপেক্ষা রাখে না। টিআরপি-র হিসেব বলে অমিতাভ-মিঠুনদের সঙ্গে রীতিমত পাল্লা দেয় রামসে ভাইদের 'পুরানা মন্দির' বা 'ভিরানা'। বলিউডের চলচ্চিত্র গবেষকরা বলেন, বি গ্রেড সিনেমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে ভূত। শুধুই বি গ্রেড সিনেমাই বা কেন, ভয়ের সিনেমা মানেই যৌনতার ককটেল ব্যবহার করা, সেটা আর অজানা নয়। ভাট ক্যাম্পের 'রাজ'ই হোক বা সেই কবে কার 'জানি দুশমন'। ভয়ের সঙ্গে যৌনতাকে মিশিয়ে দিলেই বাজিমাত। ২০১৪ সালে মুক্তি পায় সানি লিওনের রাগিনী এমএমএস থ্রি। সেখানে সানি লিওনকে ভূতের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। আর যারা এই সিনেমা দেখছেন তাদের তো জানা কথাই, ভূত সানির শরীরী রহস্যেই কামাল করেছে রাগিনী এমএমএস টু। তাহলে ব্যাপার কী দাঁড়াল...ভূতকে যৌনতায় মিশিয়ে দিয়ে যে প্রোডাক্ট তৈরি হয় সেটা দর্শকদের বড় প্রিয়।