ইংরেজি বলতে না পারলে কর্পোরেট অফিসে চাকরি নেই!

একটা হাসির ভাষা কী? সমুদ্রের ঢেউয়ের ভাষা কী? চোখের জলের ভাষা কী? একটা শিক্ষিত বেকারের চাকরি খোঁজার লড়াইয়ের ভাষা কী? প্রেমের ঝগড়ার ভাষা কী? সন্তান জন্মের পর মায়ের আনন্দ অশ্রুর ভাষা কী? পাহাড় শৃঙ্গ থেকে নদী যখন লাফিয়ে লাফিয়ে মৃত্তিকায় আছাড় খায় তখন তাঁর ভাষা কী? ইংরাজি, বাংলা, হিন্দি, স্প্যানিশ, জার্মান-কী ভাষায় এই অনুভূতি ব্যক্ত হয়?

Updated By: Sep 8, 2016, 02:33 PM IST
ইংরেজি বলতে না পারলে কর্পোরেট অফিসে চাকরি নেই!

কলকাতা: একটা হাসির ভাষা কী? সমুদ্রের ঢেউয়ের ভাষা কী? চোখের জলের ভাষা কী? একটা শিক্ষিত বেকারের চাকরি খোঁজার লড়াইয়ের ভাষা কী? প্রেমের ঝগড়ার ভাষা কী? সন্তান জন্মের পর মায়ের আনন্দ অশ্রুর ভাষা কী? পাহাড় শৃঙ্গ থেকে নদী যখন লাফিয়ে লাফিয়ে মৃত্তিকায় আছাড় খায় তখন তাঁর ভাষা কী? ইংরাজি, বাংলা, হিন্দি, স্প্যানিশ, জার্মান-কী ভাষায় এই অনুভূতি ব্যক্ত হয়? ভাষা একটা সার্বজনীন চরিত্র। যার গন্ধ নেই, আকার নেই, স্বাদ নেই আছে কেবল জন্মের ইতিহাস, বিবর্তন আর অনুভব। একটা মানবজাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসও তৈরি হয়েছিল ভাষার লড়াইয়ে। উর্দু নয় মাতৃভাষা বাংলা চাই, এ লড়াই আজ কেবল বাঙালির নয়, বিশ্বজনীন। ভাষা শহীদদের উৎসর্গিত জীবন, আত্মবলিদান মাতৃত্ববোধের এক অনবদ্য স্থাপত্য সৃষ্টি করে গিয়েছে। ভাষার নিরিখে দেশের নাম হয়েছে বাংলাদেশ। দেশের ভাগাভাগি হয়েছে, ভাষার নয়। এত গর্ব, এত উল্লাস, এত আত্মগরিমার পরও আধুনিক সমাজ কেমন যেন উদাসীন তাঁর মাতৃভাষা নিয়ে। ইংরাজি জানতেই হবে, নাহলে সভ্য সমাজে জীবন আর জীবিকার লড়াইয়ে হার মানতে হবে! কর্পোরেট সমাজের চাপিয়ে দেওয়া এই মতই অল্প অল্প করে বিনাশ করছে যুব সমাজকে। স্বদেশের প্রতি অনীহা আর পাশ্চাত্যের ওপর ঝোঁক, একটা আশঙ্কা তৈরি করছে, "হারিয়ে যাবে না তো মাতৃভাষা"। 

কর্পোরেট অফিসে চাকরি করতে হলে ইংরাজি বলতে জানতেই হবে। তা নাহলে শত গুণেও মূল্যহীন হবে যুবকের কষ্টার্জিত জ্ঞান! এ কেমন সভ্যতা? যুবদের মধ্যেও বাড়ছে 'বাংরেজি' (বাংলা প্লাস ইংরেজি) ভাষায় কথা বলার প্রভাব। এমনই এক বাস্তব পরিস্থিতিকে চিত্রনাট্যে ধরতে চেয়েছেন তরুণ পরিচালক প্রান্তিক চক্রবর্তী। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মাথায় ঘুরপাক খাওয়া এই অনবদ্য ভাবনা সিনেমা আকারে প্রকাশ করবে এবছরই। ছবির নাম ইংলিশ বনাম ইংলিশ (English vs English)। 

সিনেমার ভাবনা চিন্তাকে সমাদর করেছেন বলিউডের বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক মহেশ ভাটও। এই সিনেমার অনেকটা অংশ জুড়েই থাকবে কল্লোলিনী কলকাতা। আরও থকবে প্রেম, আবেগ, রসিকতা, সম্পর্ক। 

"দিবস গেলে যদি অবশান নাও/লেকটাউনের বাস স্টপে যদি বাতানুকূল প্রতিক্ষায়/আমি ছাড়িনি কলকাতা তোমায়...

দেখে নিন 'কলকাতা ঘুমিয়ে পড়ও', একটা ঝলক-

 

.