সেলিনা জেটলিকে প্লেনের মধ্যে হেনস্থা, জার্মানিতে ইভলিনকে নিগ্রহ

বলিউডের দুই নায়িকা একই দিনে বিশ্বের দুই প্রান্তে হেনস্থা- নিগ্রহের হলেন। জার্মানিতে নিগ্রহের শিকার হলেন ইভলিন শর্মার, অন্যদিকে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে প্লেনের মধ্যে মাঝ আকাশে হেনস্থার শিকার হলেন সেলিনা জেটলি।

Updated By: May 8, 2014, 02:36 PM IST

--------------------------------------------------
বলিউডের দুই নায়িকা বিশ্বের দুই প্রান্তে হেনস্থা- নিগ্রহের শিকার হলেন। জার্মানিতে নিগ্রহের শিকার হলেন ইভলিন শর্মার, অন্যদিকে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে প্লেনের মধ্যে মাঝ আকাশে হেনস্থার শিকার হলেন সেলিনা জেটলি।

সেলিনাকে হেনস্থা-- দুবাই থেকে আমেরিকা যাওয়ার পথে প্লেনে মাঝ আকাশে বিমান সংস্থার কর্মীর হাতে হেনস্থা হতে হল সেলিনা জেটলিকে। প্লেনে সেলেনার সঙ্গে আচমকাই দেখা হয়ে যায় তাঁর দুই ডিজাইনার বন্ধু আন্না সিং ও ফারহা খান আলির। নো এন্ট্রি সিনেমার অভিনেত্রী এরপর উঠে যান বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে। কথার মাঝে ওয়াশরুমে যেতে চান সেলেনা। কিন্তু হঠাত্‍ই তাঁকে বাধা দেন বিমানসংস্থার এক কর্মী। এমনকী অভিোগ, সেলেনার উদ্দেশ্যে কটু কতাও বলেন সেই বিমানসংস্থার কর্মী। আমেরিকায় গিয়ে এলজিবিটি কমিউনিটির এক অনুষ্ঠানে গিয়ে বক্তৃতা দেওয়ার কতা সেলেনার।

ইভলিনকে হেনস্থা- ফ্রাঙ্কফার্টে হেনস্থার শিকার হতে হল ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি সিনেমার অভিনেত্রী ইভলিন শর্মাকে। ফ্রাঙ্কফার্টের এক রাস্তায় ইভলিনকে ধাওয়া করেন তিন ভারতীয় যুবক। সঙ্গে চলতে থাকে আপত্তিকর মন্তব্য। ভয় পেয়ে ছুটতে শুরু করেন ইভলিন। এরপর একটি ট্যাক্সি ধরে বাড়ি চলে যান ইভলিন। এর আগে এই তিন যুবক ইভলিনের সঙ্গে ছবি তুলতে অনুরোধ করে। ইভলিন সেই অনুরোধ রাখেন। জার্মানিতে জন্ম বলিউডের এই অভিনেত্রী এখন পর্যন্ত পাঁচটি সিনেমা করেছেন। তাঁর মধ্যে রয়েছে-`নটঙ্কি শালা`, `ইসক`, `ইঁয়ারিয়া`, `ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি`, `ম্যায় তেরা হিরো`।

নিজের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ইভলিন। আর সেখানেই কয়েকজন ভারতীয় তাঁকে বিড়ম্বনায় ফেলে দেয় বলে জানা গেছে। একদিন শহরের রাস্তায় যাওয়ার পথে তিনজন তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার অনুরোধ করেন।এরা সবাই ভারতীয় বলেই ইভলিন জানিয়েছেন। প্রথমে ইভলিন ভালো মনেই তাঁদের আর্জি মেনে নেন। ছবিও তোলেন। কিন্তু এরপর ব্যাপারটি মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। ওই ব্যক্তিরা একের পর এক ছবি তুলতে থাকেন। আর বিন্দুমাত্র দেরি না করে তিনি হাঁটা শুরু করেন। পরমুহুর্তেই ইভলিন খেয়াল করেন তাঁর পিছু ধাওয়া করছেন লোকগুলো। শুধু তাই নয়, তাঁরা বেশ কিছু আপত্তিকর মন্তব্যও করেন। এরপর ইভলিন একটি ট্যাক্সি ধরে বাড়ি চলে যান। এ ব্যাপারে অবশ্য পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি ইভলিন। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের চিনতে পারবেন না ভেবেই অভিযোগ দায়ের করা থেকে বিরত থাকেন তিনি।

.