ঝাড়খন্ডের জঙ্গলেই এবার তৈরি হচ্ছে ‘উড়োজাহাজ’

উড়োজাহাজ তৈরির স্বপ্ন কি সত্যি হবে শেষ পর্যন্ত? সমস্ত বাধা পার করে আকাশে কি উড়তে পারবে তাঁর উড়োজাহাজ?

Updated By: Dec 27, 2017, 09:52 PM IST
ঝাড়খন্ডের জঙ্গলেই এবার তৈরি হচ্ছে ‘উড়োজাহাজ’

শর্মিষ্ঠা গোস্বামী চট্টোপাধ্যায় : উড়োজাহাজ তৈরির স্বপ্ন তাঁর চোখেমুখে। কিন্তু, সাধারণ মোটর মেকানিক হয়ে কীভাবে তৈরি করবেন উড়োজাহাজ? তাই স্বপ্নে বুঁদ হয়ে থেকেও সব সময় পিছিয়েই পড়তে হয় তা সফল করতে। কিন্তু, সমস্ত দ্বিধা, দ্বন্দ্ব কাটিয়ে একদিন সাহস করে উড়োজাহাজ তৈরি শুরু করেই দিলেন সেই সাধারণ মোটর মেকানিক। কিন্তু, তাঁর সেই প্রচেষ্টায় বাধ সাধল রাষ্ট্র। একজন মোটর মেকানিক হয়ে কীভাবে উড়োজাহাজ বানানোর সাহস দেখান, তা নিয়েই নিয়মের বেড়াজালে বাঁধতে শুরু করে দেশ।

আর এবার সাধারণ একজন মানুষের সেই অসাধারণ স্বপ্নকে সফল করার গল্পই সিনেমার আকারে আনতে চলেছেন পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। ইতিমধ্যেই ওই সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন পরিচালক। সিনেমার মূল চরিত্রে রয়েছেন চন্দন রায় সান্যাল এবং পার্নো মিত্র।

ঝাড়খন্ডের ধানচাটটানি গ্রাম এবং অর্জুন মুন্ডার বাড়িতে সিনেমার শুটিং ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। শুধু ওই গ্রামেই নয়, আগামী মাসে দলমার জঙ্গলেও শুটিং করবেন পরিচালক। সিনেমায় চন্দন রায় সান্যাল এবং পার্নো মিত্রের মধ্যে বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্যেরও শুটিং করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক। স্বামী-স্ত্রীর নরম, সুন্দর সম্পর্ককে কীভাবে আরও সুন্দর করে তুলে ধরা যায়, তার জন্যই ঝাড়খন্ডের পাহাড়, জঙ্গলকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক।

পদ্মাবতী ইস্যুতে যখন গোটা দেশ জুড়ে জোর জল্পনা চলছে, সেই সময় দেশের অধিকাংশ পরিচালকই রাজনৈতিক সিনেমা বানাতে ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু, পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত বলেন, এটি একটি প্রেমের ছবি। কিন্তু, ছবিতে রাজনীতিটা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও, রাজনৈতিক সিনেমা বানানোর স্বাধীনতা কোনওদিনই ছিল না। রাজনৈতিক সিনেমা তৈরির ক্ষেত্রে রাজনীতিকে কোন মোড়কে দেওয়া হচ্ছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে পদ্মাবতী নিয়ে যতই জলঘোলা হোক না কেন, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত কিন্তু আপন ছন্দেই সিনেমা তৈরি শুরু করে দিয়েছেন।

এদিকে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ‘উড়োজাহাজ’-এর হাত ধরে ৫ বছর পর নায়কের চেহারায় ফিরছেন চন্দন রায় রায় সান্যাল। পাশাপাশি, এই সিনেমার পর থেকে অভিনেত্রী হিসেবে পার্নো মিত্র আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত।

.