Jaya Ahsan-Bratya Basu: 'জীবনানন্দের মৃত্যু কি আত্মহত্যা নাকি সমাজকর্তৃক হত্যা!', প্রশ্ন ব্রাত্য বসুর
জয়া আহসান বলেন,'আমার চরিত্রটা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে । আমার মনে হয়েছিল এই চরিত্রে অভিনয় করার জায়গা অনেক।'
অনুসূয়া বন্দ্যোপাধ্যায়: এবার বড়পর্দায় কবি জীবনানন্দ দাশের জীবনের গল্প, ছবির নাম 'ঝরা পালক'। পরিচালনায় পরিচালক সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়। জীবনানন্দ দাশের চরিত্রে অভিনয় করছেন ব্রাত্য বসু ও তাঁর স্ত্রীয়ের চরিত্রে দেখা যাবে জয়া আহসানকে।
জীবনানন্দ দাশের চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন,‘প্রথমে খুব নার্ভাস ছিলাম ছেলেবেলা থেকে ওঁর কবিতা পড়ে আসছি। একটা সংশয় ছিল কতটা পারব আমি। জীবনানন্দের কবিতা পড়েছি, অনুধাবন করেছি কিন্তু তাঁকে তো বোঝা যায় না। সেইখানে দাঁড়িয়ে জীবনানন্দর চরিত্রে অভিনয় করতে বেশ রিসার্চ করতে হয়েছে। সেই অর্থে সফল লোক নন, সাংসারিক শান্তি ছিল না, একক নির্জন জীবন কাটালেন, স্ত্রীর সঙ্গেও সেভাবে বনিবনা হল না। তাঁর মৃত্যু কী আত্মহত্যা নাকি সমাজকর্তৃক হত্যা, সমাজ কী তাঁকে বুঝতে পেরেছিল, একজন প্রকৃত শিল্পীকে কী বুঝতে পারে সমাজ, বারবার নাড়া দিয়েছে আমায়।'
জয়া আহসানকে দেখা যাবে লাবন্য প্রভা দাসের চরিত্রে। তিনি বলেন,'আমার চরিত্রটা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে । আমার মনে হয়েছিল এই চরিত্রে অভিনয় করার জায়গা অনেক। লাবণ্য প্রভা দাসের চরিত্রে অভিনয় এবং জীবনাবন্দ দাসের বায়োপিক, এই কারণেই এই ছবিতে রাজি হওয়া। পরিচালক এই ছবিটিকে একেবারে জীবনানন্দ দাসের কবিতার মত করেই তুলে ধরবেন। ট্রিটমেন্টটাও একেবারে আলাদা যেটা আমার খুব ভাল লেগেছিল। ছবি করতে গিয়ে ব্রাত্য বসুর থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। ব্রাত্য বসু একজন প্রকৃত শিল্পী, তাঁর নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে দেখলে ঈর্ষা হয়। আশা করি দর্শকের কাছে এই ছবি আদর পাবে।'
পরিচালক সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় আশাবাদী এই ছবি নিয়ে। তিনি বলেন,'জীবনানন্দ দাস তাঁর কাছে ধুতি পরা একজন রকস্টার। সঙ্গীত পরিচালক সাত্যকি বন্দ্যোপাধ্যায় সেই রকস্টারকেই তুলে ধরেছেন। জীবনানন্দর কবিতা রয়েছে ছবিতে। এই ছবি পরিচালক তাঁর নিজের জন্য় করেছেন। এই ছবি তৈরি করে যে তৃপ্তি পেয়েছেন তা অত্যন্ত আনন্দের।'