'আসল স্বাধীনতা ২০১৪ সালে',Kangana-র মন্তব্য দেশদ্রোহ না পাগলামি, তোপ Varun-র
মোদী সরকারের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বারবার বৈষম্যমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে কঙ্গনার বিরুদ্ধে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সখ্যতা বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি তাঁর 'ভক্তি' কারও অজানা নয়! সেই কঙ্গনার পদ্মশ্রী পাওয়ার পর ভ্রুঁ কুঁচকেছেন অনেকে। বলি-অভিনেত্রী আরও একবার বিতর্কের মধ্যমণি। একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে তিনি দাবি করেছেন, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা নয় ভিক্ষা দেওয়া ছিল। আসল স্বাধীনতা এসেছে ২০১৪ সালে। কঙ্গনার এহেন মন্তব্য 'দেশদ্রোহ' বলে অভিহিত করেছেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী।
টুইটারে বরুণ লিখেছেন, কখনও মহাত্মা গান্ধীর ত্যাগ ও তপস্যার অপমান, কখনও তাঁর হত্যাকারীর সম্মান করা হচ্ছে। শহিদ মঙ্গল পাণ্ডেকে নিয়ে রানি লক্ষ্মীবাই, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস এবং লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতার সেনানিদের আত্মত্যাগের তিরস্কার করা হয়েছে। এই ধরনের মনোভাবকে পাগলামি বলব না দেশদ্রোহ?
মোদী সরকারের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বারবার বৈষম্যমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে কঙ্গনার বিরুদ্ধে। তাঁকে নিষিদ্ধ করেছে টুইটার। নানা বিতর্কের মাঝেও অবস্থান বদল করেননি কঙ্গনা। সদ্য পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর পুরস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে অনেকে মনে করছেন,মোদী সরকারের গুণগান গাওয়ার জন্য এই 'উপহার'। এবার একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলে কঙ্গনাকে বলতে শোনা গিয়েছে,''ওটা স্বাধীনতা নয়, ভিক্ষা ছিল। আসল স্বাধীনতা এসেছে ২০১৪ সালে।''
২০০৪ সালে মায়ের সঙ্গে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন বরুণ গান্ধী। ইদানীং নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছে না। লখিমপুর খেরিতে কৃষক হত্যায় সুবিচার চেয়ে সরব হয়েছিলেন বরুণ। কৃষি আইনের বিরোধিতাও করেছেন। তার 'শাস্তি' হিসেবে দলের জাতীয় কর্মসমিতিকে থেকে বাদ পড়েছেন গান্ধী-তনয়।
আরও পড়ুন- TRP List: এক সপ্তাহেই সেরা পাঁচে 'খুকুমণি', অপ্রতিরোধ্য মিঠাই