EXCLUSIVE LOOK: অর্ণবের ছবিতে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার ‘রসগোল্লা’-র অবন্তিকা!
নতুন লুকে, চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অবন্তিকার মুন্সিয়ানা
নিজস্ব প্রতিবেদন: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু সম্পর্ককে আমরা আঁকড়ে ধরে থাকি, তবুও কাজের ফাঁকে খুব বেশি সময় দিতে পারি না। মায়ার বাঁধনে বেঁধে থাকতে কে না চায়? কথা হচ্ছে ‘অন্দরকাহিনি’ খ্যাত পরিচালক অর্ণব মিদ্যার ছবি ‘সেদিন কুয়াশা ছিল’ নিয়ে। মূলত তিনটি প্রেক্ষাপটে সাজানো ছবির গল্প। অবচেতন মনে আমরা অনেক কিছু ঘটিয়ে ফেলি তবে তার রেশ থেকে যায় আমাদের মধ্যে আমাদের মস্তিষ্কে, সেই জড়িয়ে থাকা ঘটনা যার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে জীবন, কিন্তু ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না, তাই ছবির নাম ‘সেদিন কুয়াশা ছিল’। তিনটি গল্পের মধ্যে একটির শুটিং শেয হয়েছে যার মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে জিতু কমলকে। তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতাকে। তাঁদের বাবা ও মায়ের চরিত্রে রয়েছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও লিলি চক্রবর্তী। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাতনি এই ছবিতে অর্থাৎ রিল লাইফেও নাতনির চরিত্রে দেখা যাবে পৃথা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুন: International Film Festival Bangladesh: শুরু হচ্ছে শিশুদের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসব
একটি বিশেষ চরিত্র রয়েছে ছবিতে, যে চরিত্রটি না থাকলে এই গল্প এবং গল্পের বিভিন্ন চরিত্রের গতি প্রকৃতি বা তাঁদের মানসিক অবস্থা বোঝানো সম্ভব হত না সেই চরিত্রে দেখা যাবে অবন্তিকাকে। তাঁর লুক একমাত্র জি ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে শেয়ার করলেন পরিচালক।
অবন্তিকা তুলনায় নতুন, সেখানে এত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অবন্তিকাকে বেছে নাওয়ার কারণ কী, পরিচালকের মতে-‘অবন্তিকার মুখে একটা সারল্য আছে। এই চরিত্রটি এমন একটি চরিত্র যেটি স্ক্রিন প্রেজেন্স অনেক নয়, তবুও অল্প সময় ছাপ ফেলে যাবে। অবন্তিকার মুখে যে সারল্য় রয়েছে সেটিকে ব্যবহার করতে চেয়েছি এই ছবিতে। এই চরিত্রটি স্বামীর অত্য়াচার সহ্য করে, সমাজের অন্তজ পরিবার থেকে উঠে আসে, ওঁর মধ্যে সেটা দেখেছিলাম, অবন্তিকা খুব সুন্দরভাবে তা ফুটিয়ে তুলেছে।’
অবন্তিকার মতে ‘এই চরিত্রটা বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও অতিথি শিল্পী আমি এই ছবিতে। আমার চরিত্রের নাম লক্ষ্মীর মা, বাড়ির পরিচারিকার ভূমিকায় অভিনয় করেছি। ছোটবেলায় মেকআপ আর্টিস্ট ইউনিসের সঙ্গে অনেক কাজ করেছিলাম, এই চরিত্রের জন্য যে লুক ক্রিয়েট করেছে সেই লুক অনেকটা চরিত্রে ঢুকতে সাহায্য করেছে। খুবই সাধারণ একটা লুক, গালের মারের দাগ, চোখে মুখে যন্ত্রণার ছাপ রয়েছে। দৃশ্য়ে যে সময় আমায় দেখা যাচ্ছে তার আগের দিন আমার স্বামী আমার উপর অত্যাচার করেছে, সে সব সহ্য় করে নিজের সন্তানদের সামলে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এই চরিত্রটি আমার অত্যন্ত কাছের হয়ে থাকবে।’
পরিচালক আরও বলেন, ‘ছবিতে মিউজিক অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ, শিল্পী রণজয় ভট্টাচার্য মিউজিক করেছেন। মিউজিক দিয়েই গাঁথা হয়েছে ছবির নানা দৃশ্য। টালিগঞ্জের একটি বাড়িতে ছবির শুটিং করেছেন পরিচালক।’