বালির দূর্গ ও সোমশুক্লা
কন্যা, স্ত্রী, মা, দিদির পরিচয় গুলোকে দূরে সরিয়ে রেখে এক আপাত স্বচ্ছল, সুখী মহিলার নিজেকে, নিজের অস্তিস্ত্বকে খুঁজে পাওয়ার গল্প `স্যান্ড ক্যাসল`। আর কিছুদিন পরেই এই ইন্ডিপেনডেন্ট সিনেমা চলে আসবে শহরের মালটিপ্লেক্স গুলোতে। মুক্তি পাওয়ার আগে এই ছবির পরিচালক এক আর এক অনন্যা নারী সোমশুক্লার মুখোমুখি হয়েছিলাম আমরা। নারী দিবসে সেই অনন্য নারীর সঙ্গে আলাপ চারিতার এক ঝলক রইল আমাদের দর্শকদের জন্য...
কন্যা, স্ত্রী, মা, দিদির পরিচয় গুলোকে দূরে সরিয়ে রেখে এক আপাত স্বচ্ছল, সুখী মহিলার নিজেকে, নিজের অস্তিস্ত্বকে খুঁজে পাওয়ার গল্প `স্যান্ড ক্যাসল`। আর কিছুদিন পরেই এই ইন্ডিপেনডেন্ট সিনেমা চলে আসবে শহরের মালটিপ্লেক্স গুলোতে। মুক্তি পাওয়ার আগে এই ছবির পরিচালক এক আর এক অনন্যা নারী সোমশুক্লার মুখোমুখি হয়েছিলাম আমরা। নারী দিবসে সেই অনন্য নারীর সঙ্গে আলাপ চারিতার এক ঝলক রইল আমাদের দর্শকদের জন্য...
স্যান্ডক্যাসেলের গল্পটা কী ঘিরে?
সোমশুক্লা: স্যান্ড ক্যাসেল আসলে একটা জার্নি। শিক্ষিত, শহুরে উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূ শীলার আপাত সুখী জীবন নিস্তরঙ্গ ভালোয় মন্দে মিশিয়ে দিব্যি চলছিল। মেয়ে, মা, স্ত্রীর ভূমিকায় সে অনবদ্য। আর এখান থেকেই তার নিজেকে খোঁজার যাত্রা শুরু। একজন মানুষ হিসাবে নিজের অস্তিত্বকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা শুরু। একান্ত নিজের স্বপ্ন গুলোকে উড়ান দেওয়ার লড়াই শুরু।
স্যান্ডক্যাসেলের অভিজ্ঞতা কেমন?
সোমশুক্লা: অসাধারণ। আসলে আমি কবিতা লিখি, গান করি, আমার থিয়েটার গ্রুপ আছে। কিন্তু চাইছিলাম আমার বক্তব্যটা, আমার ভাবনা আরও বেশি করে, অনেকের কাছে পৌঁছে দিতে। তাই ভাবলাম সিনেমা এমন একটা মাধ্যম যেটার মাধ্যমে আমি আমাকে, আমার ভাবনা কে অনেকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবো। থিয়েটার করার অভিজ্ঞতাটা কাজে লেগে গেল। এই সিনেমার অভিনেতা, অভিনেত্রী, সমস্ত টেকনিশয়ন, সহকারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল স্যান্ডক্যাসেল।
স্যান্ডক্যাসেল ইতিমধ্যেই একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতে নিয়েছে, তিনটে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত হয়েছে। মুক্তি পাওয়ার আগেই প্রথম সিনেমার হাত ধরেই এত সাফল্য। আপনার অনুভূতি কীরকম?
সোমশুক্লা: স্যান্ডক্যাসেল তৈরি করার পর মনে হয়েছিল এই সিনেমা সবার ভাল লাগবে তো? দেখবে তো কেউ? সবাই প্রায় জোর করেই বিভিন্ন ফেস্টিভ্যাল গুলোতে স্যান্ডক্যাসেল পাঠালো। যখন লন্ডন ইন্টারন্যাশনল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, টেনেফায়ার ইন্টারন্যাশানল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, এল এ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বিভিন্ন বিভাগে স্যান্ড ক্যাসেল মনোনীত হল আত্মবিশ্বাস বাড়ল। যখন টেনেফায়ার থেকে বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফির পুরস্কারটা ছিনিয়ে আনল তখন মনে হল ছবিটা বোধহয় খুব খারাপ বানাইনি। স্যান্ডক্যাসেল আমার সন্তানের মত। সন্তান পুরস্কৃত হলে সবারই তো ভাল লাগে, তাই না?
গায়িকা, কবি, থিয়েটার পার্সোনালিটি আর এখন সিনেমা পরিচালক, হোয়াট নেক্সট?
সোমশুক্লা: আমি এই সমাজটার জন্য কিছু করতে চাই। আমি মনে করি, আমাদের চারপাশটাকে আমাদের সবারই অনেক কিছু দেওয়ার আছে। আমাদের এই সমাজের প্রতি আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে। তাই এবার বোধহয় সমাজকর্মী...
এই সিনেমাটার ভিত গড়ে উঠেছে শহুরে পটভূমিকায়। এর লক্ষ্যও শিক্ষিত আরবান দর্শক। সব ধরণের দর্শকের জন্য আপনি কি নতুন কিছু ভাবছেন?
সোমশুক্লা: আমার পরবর্তী ছবি সম্ভবত রোম্যান্টিক হবে। আশা করব সেই সিনেমা দেখতে সব ধরনের দর্শকরাই আসবেন...