কোটির পাহাড় গড়ছেন, ভাঙছেন, ১, ২, ৩ আমির
একশো, দুশো, পেরিয়ে তিনশো কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে পিকে। ধুম থ্রির রেকর্ড ভেঙে আমির গড়ে ফেলেছেন নিডেক মাইলস্টোন। শুধু আমির নন, খান মানেই এখন ১০০ কোটির বাজি। তবে শুধুই কি তাই? এই শত কোটির ব্যবসাতেও কিন্তু পথ প্রদর্শক এই মিস্টার পারফেকশনিস্টই।
ওয়েব ডেস্ক: একশো, দুশো, পেরিয়ে তিনশো কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে পিকে। ধুম থ্রির রেকর্ড ভেঙে আমির গড়ে ফেলেছেন নিডেক মাইলস্টোন। শুধু আমির নন, খান মানেই এখন ১০০ কোটির বাজি। তবে শুধুই কি তাই? এই শত কোটির ব্যবসাতেও কিন্তু পথ প্রদর্শক এই মিস্টার পারফেকশনিস্টই।
বলিউডে প্রথম ১০০ কোটির ব্যবসা করে গজনি। ২০০৮ সালে গজনি মুক্তি পাওয়ার আগে বলিউড ছবিও যে ১০০ কোটির ব্যবসা আনতে তা ভাবাই যেত না। সারা বিশ্বে মোট ১৯০ কোটির ব্যবসা করে গজনি। ভারতের বাজারে ১১৪ কোটি। ঠিক পরের বছর ২০০৯ সালে রাজকুমার হিরানির ছবি থ্রি ইডিয়টসের হাত ধরে ভারতের বক্সঅফিসে ২০০ কোটির ব্যবসার মাইলস্টোন গড়েন আমির। সারা বিশ্বে থ্রি ইডিয়টস ৩৯৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। ভারতের বাজারে ২০২ কোটির কিছু বেশি।
এতদিন পর্যন্ত একশো, দু'শো কোটি ছিল শুধুই আমিরের এক্তিয়ার। ২০১০ সালে দাবাঙ্গের হাত ধরে এই শিবিরে ঢোকেন সলমন। ভারতে দাবাঙ্গ ১৩৮ কোটির ব্যবসা করে। গোলমাল থ্রিও এই বছর ১০০ কোটির শিবিরে জায়গা পেয়েছিল। তবে ২০০ কোটি তখনও ছিল স্বপ্ন। ২০১৩ সালে শাহরুখ ভেঙে দেন অমিরের রেকর্ড। ভারতের বাজারে চেন্নাই এক্সপ্রেস তুলে নেয় ২২৭ কোটি। আর বলিউড বাদশাকে টপকে যান হৃতিক। কৃষ থ্রি ভারতে ২৪৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। তবে আমির হারতে জানেন না। বছরের শেষে ধুম থ্রি ছবির ২৮৪ কোটির ব্যবসা বুঝিয়ে দিয়েছিল ৩০০ কোটির দিকে এগোচ্ছেন আমির।
আর হলও ঠিক তাই। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে পিকে। আর ৪ জানুয়ারি ২০১৫-র হিসেব বলছে শুধুমাত্র দেশ থেকে পিকের পকেটে এসেছে ৩০৫ কোটি। সারা বিশ্বে লাভের হিসেব ৭০০ কোটি ছুঁই ছুঁই। কে ভাঙবেন এই রেকর্ড? ইতিহাস বলছে আমির নিজেই গড়েন, নিজেই ভাঙেন।