ইশশ... বাবুমশাই, কী মিস!
তারিখটা ঠিক মনে নেই। ২০০৬-০৭ সাল হবে। কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে উঠেছেন রাজেশ খন্না। খবর পেয়ে হোটেলের পাবলিক রিলেশন ম্যানেজারের মারফত ফোনে যোগাযোগ করলাম। হোটেলের রুমে ফোনটা কানেক্ট করতেই ওপারে গম্ভীর অথচ মৃদু কণ্ঠস্বর, 'ইয়েস, স্পিকিং।'কাঁচুমাচু গলায় অনুরোধ করি একটা ইন্টারভিউয়ের জন্য।
তারিখটা ঠিক মনে নেই। ২০০৬-০৭ সাল হবে। কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে উঠেছেন রাজেশ খন্না। খবর পেয়ে হোটেলের পাবলিক রিলেশন ম্যানেজারের মারফত ফোনে যোগাযোগ করলাম। হোটেলের রুমে ফোনটা কানেক্ট করতেই ওপারে গম্ভীর অথচ মৃদু কণ্ঠস্বর, 'ইয়েস, স্পিকিং।'
কাঁচুমাচু গলায় অনুরোধ করি একটা ইন্টারভিউয়ের জন্য।
ওপারের গলা জিজ্ঞেস করে, হুইচ পাবলিকেশন?
বলি।
শুনে বললেন, "কাম ওভার, মাই ডিয়ার।"
মাই ডিয়ার! কাম ওভার!! ওরে বাবা। সাংবাদিকতায় তখন সবে ঠুকঠাক ব্যাটিং করছি। স্কোরবোর্ডে দশ রানও নেই। টগবগে হয়ে বসকে বলতে গেলাম সুপারস্টার রাজেশ খন্নার সঙ্গে ইন্টারভিউ ফিক্স-আপ করেছি। আমার তদানীন্তন বস রিডিং গ্লাসের ওপর দিয়ে কুঁচকে তাকিয়ে বললেন, "ওই ঘাটের মড়ার ইন্টারভিউ ছাপালে কী আমার পত্রিকা পাঁচশ কপি বেশি বিক্রি হবে? যাওয়ার দরকার নেই। এখন আর কেউ চেনে না ওকে। বিগ শট কাউকে ধরো।"
পৃথিবীতে নেই কোনও বিশুদ্ধ চাকরি এবং বস ইজ অলওয়েজ কারেক্ট।
অতএব...
দেড় বছর আগে মুম্বইয়ের এক স্টুডিয়োয় কর্মরত থাকাকালীন আর একবার। সম্ভবত লোয়ার পারেলের এক বিলাসবহুল শপিং মলের বুকস্টোরে দেখেছিলাম চশমা-চোখে, পিঙ্গল শ্মশ্রু-কেশ, স্মিতহাসির এই ভদ্রলোককে। তাঁর কাছে দাঁড়িয়ে বুকস্টোরের মালিক। ভদ্রলোককে ঘিরে ভক্তের জটলা। বেশিরভাগ মাঝবয়েসি মহিলা আর খুদেরা। অটোগ্রাফ-হ্যান্ডশেক-ফোটোপর্ব চলছে। তখন সবে সাংবাদিকতার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ট্র্যাক চেঞ্জ করেছি। এগিয়ে গিয়ে আলাপ করবার কথা ভাবতেই কেমন যেন হাই উঠল...
******
আঠেরোই জুলাই জানালার বাইরে কলকাতার কান্না-ভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে বুঝেছিলাম সাংবাদিকতা জীবনে কী হাত-কামড়ানো মিস। চান্স পেলাম না! পেলাম না বলা অন্যায়। চরম অদূরদর্শী, অপদার্থ সাংবাদিক হওয়ার দরুণ কোনও দিন চেষ্টাই করলাম না!
সেদিন বস রাজি মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে RK আদ্যক্ষর বিস্তৃত করতে বললে, আগের জেনারেশন চটজলদি বলবেন রাজ কপূর। এখনকার জেনারেশন বলবে রণবীর কপূর। আজ অবধি কাউকে বলতে শুনিনি- রাজেশ খন্না! বিনোদনের খাতায় 'বিক্রয়যোগ্যতা' তিনি তৈরি করতে পারলেন না কেন? অথচ তাঁর বাণিজ্যমূল্য নিয়ে কোনও সংশয় নিন্দুকেরও নেই। পরপর ১৬ টা ছবি হিট-এর রেকর্ড আজ অবধি বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কারওর নেই। তবু রাজেশ খন্নার K-কোশেন্ট কখনও তাঁকে একটা ক্ষমতাময় উচ্চতায়, একটা সংবাদমুখর আশ্রয়ে পৌঁছে দিতে পারেনি। অনেক পরে বুঝেছিলাম, শীর্ষে থাকার আসল তাস মিডিয়াকে ব্যবহার করা। কাগজের মুখ, গসিপের শিরোনাম হয়ে থেকে পাঠককে কিছুতেই ভুলতে না দেওয়া। মিডিয়াই এখন পাবলিক মেমরির নিয়ন্ত্রক ও দিকনির্দেশক (দ্বিমত হবেন অনেকেই, কিন্তু বিনোদন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এটাই নির্মম সত্যি)। রাজেশ খন্না সম্পর্কে আমার এক্স-বসের স্টেটমেন্টটা যদি সত্যি বলে ধরেই নিই তবে, শেষ দশবছর ('ঘাটের মড়া' ফেজ) মিডিয়া থেকে দূরত্ব বজায় রেখে জানতে
আমার জ্ঞানগম্যি অবধি জেনেছি, হাথি মেরে সাথি বাদে রাজেশ খন্নার ছবি সব 'বড়'দের। আনন্দ দেখতে বসে বাড়িশুদ্ধু সব বড়দের চোখে জল দেখে, পর্দার পেছন থেকে এমন হাপুসনয়নে কেঁদেছিলাম যে, পর্দায় সর্দি লেগে যাচ্ছে বলে মা একটা গামছা এনে হাতে ধরিয়েছিলেন! পরে বুঝেছিলাম, রাজেশ অভিনয়ের ওই সূক্ষ্মতা, অভিব্যক্তির এমন পরিমিতিবোধ আসলে একটি শিশুমনকেও মন্থন করবার ক্ষমতা ধরে। কিছু-না-বোঝার বয়স থেকেই ইন্দ্রজাল বিছাতে পারে। বলিউডের প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীত নির্দেশক ও সুরকারদের মন্তব্য পড়ে দেখেছি, তাঁরা একটি বিষয়ে একমত। রাজেশ খন্নার ম্যাজিক ফিনিশিং টাচ ছাড়া, কভি দূর যব দিন ঢল যায়ে কিংবা উও শাম কুছ আজিব থি গানগুলো চিরায়তের মর্যাদা পেয়েছে।
রাজেশ খন্না কেন 'পারলেন' না, অমিতাভ কেন 'পারলেন', এই প্রসঙ্গে একটা বহুজনগ্রাহ্য মন্তব্য শুনেছি যে, রাজেশ ম্যানারিজমেই আটকে ছিলেন। অমিতাভের নিজের ইমেজ ভাঙা-গড়ার কোনও চেষ্টা করেননি। কেউ বলেন, তাঁর উত্থান যেমন তুবড়ির মতো, পতনও তেমনি... পাঁচ-ছদিন ধরে একটানা রাজেশ খন্নার ছবির গান ও ছবি দেখার পর আমি নিশ্চিত, বিশ্লেষণটা অত সোজা নয়। অমিতাভের কেরিয়ারেও এমন ছবির সংখ্যা নেহাত কম নয়, যেগুলো ষোল মিনিট বসে দেখা যায় না। (হাল আমলে 'বুডঢা মিল গয়া' ছবিটার কথাই ধরুন) কিংবা শেষ ষাট মিনিট এতটাই প্রেডিক্টেবল যে না দেখলেও চলে। ১৯৬৯ সালে 'আরাধনা' যখন প্রায় নবাগত রাজেশ খন্নাকে তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়, তখন অমিতাভ একজন স্ট্রাগলার। কে আব্বাসের 'সাত হিন্দুস্থানি' সুপারফ্লপ। এদিকে 'দো রাস্তে', 'বন্ধন', 'আন মিলো সজনা', 'দ্য ট্রেন', 'ইত্তেফাক', 'কাটি পতঙ্গ', 'সফর'... রাজেশের জয়ের সফর তখন স্পিডবোটের দ্রুততায়।
'আনন্দ'-এই হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায় দুজনকে এনে দিলেন এক সমতলে। সেখানেও রাজেশের জয়জয়কার চিরকালীনতায় উত্তীর্ণ। বাহুল্যবর্জিত সেট, রঙচটা পর্দা, তারের চেয়ার, কাঠের টেবিল আর তার মধ্যে পাজামা-পঞ্জাবি-পরিহিত রাজেশ, শুধুই অভিনয়দক্ষতার জোরে ইতিহাস গড়ে দিলেন। রমেশ সিপ্পির ডেবিউ ছবি অন্দাজ-এ গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স জিন্দেগি এক সফর হ্যায় সুহানা এই একটা গানে লিপ দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, শাম্মির দিন শেষ। তার পর মর্যাদা, হাথি মেরে সাথি, দুশমন, আপনা দেশ এবং অমর প্রেম। হিট মেশিন জোরদার চালু। মান্না দে, রফি এবং সবচেয়ে বড় কথা, কিশোরকুমারের কণ্ঠস্বর তখন পরের পর চিরনতুন গান দিয়ে চলেছে রাজেশ খন্নার ঠোঁটে। প্রসঙ্গক্রমে একটা কথা জানাই, আরাধনা-র 'রূপ তেরা মস্তানা' সং পিকচারাইজেশন সারা বিশ্বের সেক্সিয়েস্ট সং-এর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। ফ্লুকে নয়, গভীর কারণে। ভাবুন দেখি, এতটুকু শরীর প্রদর্শন না করে ফুলশার্টের মোটে তিনটি বোতাম খুলে ওই গোটা গানটা জুড়ে কী অসামান্য চোখের অভিনয়! হলফ করে বলছি, হিন্দি ছবিতে কোনও পুরুষ-নায়কের এমন কামুক চাহনি এর আগেও কেউ দিতে পারেননি। পরেও নয়। ব্যাকগ্রাউন্ডে আলো-আঁধারিতে একটু আগুন, স্পষ্ট সাহসী লিরিকস, যৌনতার আবাহনে এমন স্নিগ্ধতা আর মায়া-মাখন, আর কোথাও দেখেছেন?
মনে হয় মিডিয়ার মুখ হয়ে থাকার মতো যথেষ্ট অফ-স্ক্রিন খোরাকও জোগাননি রাজেশ। ডিম্পলের সঙ্গে বিবাহিত শচীন ভৌমিকের লেখায় পড়েছি, রাজেশ খন্না-অঞ্জু মহেন্দ্রুর উদ্দাম প্রেম নিয়ে সাংবাদিকমহলে কী মাত্রায় ছোঁক-ছোঁকানি ছিল। এক দুঁদে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, শুনেছি অঞ্জু আর আপনি নাকি একই টুথব্রাশ ব্যবহার করেন? উত্তরে রাজেশ খন্না যা বলেছিলেন, তা কিছুটা এইরকম- 'আপনি ভুল শুনেছেন। মুখ পরিষ্কার রাখতে আমাদের দুজনের কোনওদিন টুথব্রাশ দরকার হয়নি। জিভ-ই যথেষ্ট।'
কখনও তাঁর মুখ থেকে কেউ একখণ্ড গালিগালাজ বের করতে পারেনি। সাংবাদিকদের কোনও ফিচেল প্রশ্নই ধৈর্যচ্যুত করতে পারেনি তাঁকে। কিন্তু বারবার তথ্যবিকৃতিই তাঁকে সংবাদবিমুখ করেছিল। মুম্বইয়ের এক নামজাদা জার্নালিস্টের মুখে শুনেছি, ইন্টারভিউ নেওয়ার আশায় কেউ এলে তাঁর সেক্রেটারি প্রশান্তকে দিয়ে 'অদৃশ্য নির্দেশে' বসিয়ে রাখাতেন। চা-নিমকি খেতে দিতেন। ঘন্টার পর ঘন্টা অসহ্য অপেক্ষার পর নিজে থেকেই ম্লানমুখে উঠে চলে যেতেন সাংবাদিকরা। ঠিক জানা নেই কী পথ নিলে রাজেশ তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের ডিম্পল-অঞ্জু-মুমতাজ ও আরও কিছু 'বাজে গল্প' চিরতরে লোকমুখে চালাচালির পথ বন্ধ করতে পারতেন। তবে এক দশকের স্বেচ্ছাবসর অবকাশেই তিনি কেমন স্মৃতি খুঁড়ে আনতে পারেন, সেটা মিডিয়াকে তিনি টের পাইয়ে দিয়েছেন।
শুনেছি রাজেশ খন্নার পতনের মূলে ছিল তাঁর পাংচুয়ালিটির অভাব। স্টার হওয়ার পর দেরি করে শুটিং-এ আসা। মেরে জীবন সাথী, শেহজাদা আর দিল দৌলত দুনিয়া-র মুখ থুবড়ে পড়া। অন্যদিকে ১০-১২টা সুযোগের পর বম্বে টু গোয়া-য় একটু নজরে পড়েন অমিতাভ। জঞ্জীর-এর জন্য দেব আনন্দ, জিতেন্দ্র-র মতো বড় তারকার 'না'-এর পর শিকে ছেঁড়ে অমিতাভের ভাগ্যে।
সিনেমাশিল্প কখনও শূন্যস্থান লালনের বিলাসিতায় ডোবে না। নতুন কিছুর যোগান চাই। পর্দায় অনবদ্য প্রেমদৃশ্যে তাই মেশে পুরুষালি রাগ। স্বল্প বাজেটের জঞ্জীর হিট। দর্শক অন্য কিছু চাইছে। হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায় আবার সমুখ-সমরে আনলেন রাজেশ-অমিতাভকে। নমক হারাম...
দিওয়ার-এর অমিতাভের চরিত্রটা নাকি আগেই অফার করা হয়েছিল রাজেশ খন্নাকে? সাইনিং অ্যামাউন্টও পেয়ে গিয়েছিলেন? পরে এক অজানা কারণে, পেয়ে গেলেন অমিতাভ। 'মেরে পাস মা হ্যায়'। অধ্যায় শেষ।
এই বলিউড ওঠানামার শেয়ারমার্কেটে, রাজেশ খন্নার চিরপ্রস্থানের পথে এমন জনগণমহোত্সব, এমন আবেগের ঢল, না মুম্বই পুলিশ, না ভারতীয় মিডিয়া, কেউই আন্দাজ করতে পারেনি! কোন মন্ত্রে তবে এক অভিনেতার প্রয়াণ কেমনভাবে ব্যক্তি থেকে সমষ্টিতে বিস্তৃত হয়ে গিয়েছে। ভিড় সামলাতে জেরবার হওয়া পুলিশও ঘাড় উঁচিয়ে একবার শেষ দেখা দেখতে চেয়েছে সুপারস্টারের। বাস্তবিক, হাওয়া বদলেছে, ফ্যান বদলায়নি!
জরা এসেছে। মুখাবয়ব প্রায় করোটি ছুঁয়েছে। অসুখ এসেছে। ঝাঁঝরা করেছে পঞ্জরাস্থি। পরচুলো, গলাবন্ধ কোট, ইম্পোর্টেড স্পেকস-ও যা আড়াল করতে পারেনি। আর তাঁর অন্তিম যাত্রায় সবই নাটকের ক্লাইম্যাক্সের মতো ঘটে চলেছে এই বলিউডেই, যার রূপালি পর্দায় প্রেম এবং মৃত্যু, দুটোই সোত্সাহে সেলিব্রেট করা হয়। আবেগ যেখানে চোখধাঁধানো কড়া রঙের, অন্ধ আভিজাত্যের শূন্য কলসি। কখন কাঁদতে হবে, কখন হাসতে হবে বাজিয়ে বাজিয়ে বুঝিয়ে দিতে হয়। দর্শক যে একটু আড়ালে চোখ মুছবে তার জন্য ফ্রি-স্পেস নেই। অবাক ব্যাপার, এখন ফেসবুক, টুইটারে সেলিব্রিটি থেকে আমজনতা সেলাম ঠুকছে, কুর্ণিশ-প্রণাম-নমস্কার করছে তাঁকেই, যিনি পর্দায় জীবন-মৃত্যুর সীমারেখা দিয়ে হাঁটতে শিখিয়েছিলেন দর্শককে। ইউটিউবে সার্চ করে দেখুন, হপ্তা-ভর আনন্দ, আরাধনা, অনুরোধ, ইত্তেফাক, সফর, দো রাস্তে, কাটি পতঙ্গ সব সেরা ছবিগুলো ডাউনলোড লক্ষ ছাড়িয়েছে। ভিউয়ারশিপ কাউন্ট বাড়ছে প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে পনেরো হাজার!
জীবনের মধ্যে মৃত্যু, মৃত্যুর ভিতরে জীবন। এই দুই বৃত্তের মধ্যে এমন অনায়াস স্পর্শক হওয়ার ক্ষমতা ধরেছিলেন একমাত্র এই বলিউড সুপারস্টার!
রাজেশ খন্না মৃত্যুর বাকি দিনটা কেটেছিল টেলিফোন অপারেটর হিসেবে। হ্যালো, রাজেশজি ইজ নো মোর, আর ইউ ইন আ পজিশন টু গিভ আস ইয়োর রিঅ্যাকশন... হ্যালো, রাজেশজি অব নহী রাহা। কুছ ইয়াদেঁ শেয়ার কর সকতে হ্যায় আপ?...
সেদিন সহস্রাধিক জমায়েতের মাঝে, পাবলিক ইমেজ ভুলে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেছিলেন জরাগ্রস্ত বিগ বি। অজস্র টুইট আর ব্লগের লেখার শোক প্রকাশ করেছিলেন। ফোন-ইন রিঅ্যাকশনের জন্য ওঁর মোবাইলে এসএমএস করে সনির্বন্ধ অনুরোধ পাঠিয়েছিলাম। উত্তর এল-
"My regrets.. Feel insensitive talking about it just yet.."
সাংবাদিক জীবনে অমিতাভ বচ্চনের কাছ থেকে পাওয়া প্রথম টেক্সট মেসেজ।রাজেশ খন্না চিরদিনের মতো চলে যাওয়ার পর। কম কী!
ফুলকলি