পিটুনিতে জখম সাপ বাঁচানোই এখন চন্দনের নেশা

এ এক অন্য সাপুড়ের কাহিনী। বীন বাজিয়ে সাপ ধরেন না তিনি। বিষদাঁত উপড়ে ফেলাও তাঁর ধাতে নেই। বরং আতঙ্কিত মানুষের পিটুনিতে জখম কেউটে,গোখরো, চন্দ্রবোড়াকেই ঘরে ঠাঁই দেন তিনি। পরম যত্নে চিকিত্‍সা করে আবার তাদের ফিরিয়ে দেন নিরাপদ আশ্রয়ে।

Updated By: Aug 14, 2014, 11:54 AM IST

ওয়েব ডেস্ক: এ এক অন্য সাপুড়ের কাহিনী। বীন বাজিয়ে সাপ ধরেন না তিনি। বিষদাঁত উপড়ে ফেলাও তাঁর ধাতে নেই। বরং আতঙ্কিত মানুষের পিটুনিতে জখম কেউটে,গোখরো, চন্দ্রবোড়াকেই ঘরে ঠাঁই দেন তিনি। পরম যত্নে চিকিত্‍সা করে আবার তাদের ফিরিয়ে দেন নিরাপদ আশ্রয়ে।

শখের সাপুড়ে চন্দন ক্লেমেন্ট সিং। বাবুরাম সাপুড়ের মতো চোখ, দাঁত বিহীন সাপ নিয়ে তিনি আদৌ নাড়াচাড়া করেন না। বরং  জ্যান্ত,  রীতিমতো বিষধর সাপ-ই ব্যান্ডেলের এই সাপুড়ের  রোজনামচা। সেই কবে ক্লাস সিক্সে  শুরু। স্কুলে যাওয়ার পথে দুষ্টু এক লোককে সাপ মারতে দেখেছিলেন।  ঘরে এনে জখম সাপটিকে শুশ্রুষা  করে বাঁচিয়েছিলেন। সেই থেকেই এ তল্লাটে চন্দনের নাম হয়ে যায় সাপুড়ে চন্দন। কারও বাড়িতে সাপ বেরলে ডাক পড়ে। পিটুনিতে জখম সাপ বাঁচানোই এখন চন্দনের নেশা।

জখম সাপ শুধু ধরে আনাই নয়। সেই গোখরো, কেউটের চিকিত্‍সার দায়িত্বও নিজের কাঁধেই তুলে নেন চন্দন। ছোটখাট ব্যবসা করেন চন্দন। স্ত্রী আর একরত্তি মেয়েকে নিয়ে সংসার। চন্দনের এই খেয়ালে  আপত্তি নেই তাদেরও। তবে শুধু সাপই নয়। কদিন আগে ঘুড়ির সুতোয় আটকে পড়া একটি পেঁচাকেও পরম যত্নে বাঁচিয়েছেন তিনি। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সাপ, ব্যাঙ, পেঁচা সবই জরুরি। বিশ্বাস করেন চন্দন। আর তাই সাপের রক্ষাকর্তার ভূমিকায় একা কুম্ভের লড়াই চালিয়ে যেতে চান তিনি।  

 

.