সালিশি সভায় মহিলাকে গাছে বেঁধে চলল মারধর
সালিশির বিচারে মধ্যযুগীয় বর্বরতা। মহিলাকে গাছে বেঁধে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মারধর। মালদার ইংরেজবাজারের এই ঘটনায় গ্রেফতার গ্রামের মোড়ল সহ সালিশি সভার ৩ জন সদস্য। আরও দুজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
ওয়েব ডেস্ক: সালিশির বিচারে মধ্যযুগীয় বর্বরতা। মহিলাকে গাছে বেঁধে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মারধর। মালদার ইংরেজবাজারের এই ঘটনায় গ্রেফতার গ্রামের মোড়ল সহ সালিশি সভার ৩ জন সদস্য। আরও দুজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
আজাদা বিবির অপরাধ, গ্রামের মাতব্বর সহ অনেকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠোকেন তিনি। তাই এই শাস্তি। গত বৃহস্পতিবার অমৃতির বটতলিতে বাপের বাড়ির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন তিনি। বিপদ বাধে তখন থেকেই। পুরনো মামলার রেশ টেনে গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয়। মাতব্বররাই ঠিক করে নেন, মামলা তুলে নিতে হবে আজাদা বিবিকে। এতদিন ধরে মামলা চালানোর খরচ, ৬০ হাজার টাকা শোধ করতে হবে আজাদা বিবিকেই। সিদ্ধান্ত না মানলে গ্রাম ছাড়তে হবে তাঁর পরিবারকে।
রাজি হননি তিনি। ফল পেলেন হাতেনাতে। মিডিয়ার কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিস। তারপর উদ্ধার হন মহিলা। সেখান থেকে সোজা হাসপাতাল। গ্রামের মোড়ল সহ ৫ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিস পৌঁছতে দেরি কেন, এ প্রশ্নে অস্বস্তিতে প্রশাসন। যদিও চটজলদি ব্যবস্থা নিয়ে মূল অভিযুক্তদের ধরে ফেলে পুলিস। তবে তাতেও ক্ষোভ কমেনি। প্রশ্ন উঠছে, সালিশি সভার বিচারের নামে বর্বরতা আর কতদিন? কবে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাবে পুলিস-প্রশাসনকে?