রানাঘাট গণধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার ২

রানাঘাট গণধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক সন্দেহভাজন। পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের সিআইডি-র ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনেরাল (অপরেশন) দিলীপ কুমার আদক জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগণার হাবরা থেকে গোপাল সরকার নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ যে ডাকাত দলটি ১৪ মার্চ রানাঘাটের কনভেন্টে ডাকাতি ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তাদের আশ্রয় দিয়েছিল এই ব্যক্তি।

Updated By: Mar 26, 2015, 05:35 PM IST
 রানাঘাট গণধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার ২

কলকাতা: রানাঘাট গণধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক সন্দেহভাজন। পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের সিআইডি-র ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনেরাল (অপরেশন) দিলীপ কুমার আদক জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগণার হাবরা থেকে গোপাল সরকার নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ যে ডাকাত দলটি ১৪ মার্চ রানাঘাটের কনভেন্টে ডাকাতি ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তাদের আশ্রয় দিয়েছিল এই ব্যক্তি।

ঘটনার দু'সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর গতকাল মুম্বই থেকে মহম্মদ সেলিম শেখ নামে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। আদতে বাংলাদেশি বর্তমানে মুম্বইয়ের বাসিন্দা এই ধৃতের সঙ্গে অভিযুক্তদের স্কেচের মিল পাওয়া গিয়েছে। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সেলিমের নাগাল পান গোয়েন্দারা।

১৪ মার্চ রাতে কলকাতা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে রানাঘাটের জেসাস অ্যান্ড মেরি কনভেন্টে পৈশাচিক যৌন নির্যাতনের শিকার হন ৭২ বছরের এক সন্ন্যাসিনী।

কনভেন্টটির সিসিটিভি ফুটেজে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর শুধু এ রাজ্যই জয়, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশেই। অবিলম্বে, দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করে শাস্তির দাবি ওঠে।

এই দুষ্কৃতী দলটি বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনীকে গণধর্ষণের সঙ্গেই ১২ লক্ষ টাকা লুঠ করেছিল।

নিগৃহীতা সন্ন্যাসিনী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে ছেড়েছেন এই রাজ্য। বর্তমানে তিনি কোথায়, সে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার তদন্ত সিআইডি-র দায়িত্বে থাকলেও, অভিযুক্তরা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পরে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।

 

 

 

.