রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি, জেলায় জেলায় ত্রানশিবিরে আশ্রয় নিয়েছে লক্ষাধিক ঘরছাড়া

জলে ভাসছে বীরভূমের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝাড়খণ্ড আর বিহারের জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ায় বিপর্যস্ত গোটা জেলা। তিলপাড়া, বইধারা, মাসাঞ্জোর থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হয়েছে। হিংলো ব্যারেজ থেকেও জল ছাড়া হয়েছে। আর এতেই ফুঁসছে ময়ূরাক্ষী, সিদ্ধেশ্বরী, ব্রাহ্মণী, দ্বারকা সহ বিভিন্ন নদী। সাঁইথিয়ায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে নদীর চরে দাঁড়িয়ে থাকা বালিবোঠাই একটি ট্রাক।

Updated By: Aug 1, 2015, 10:51 AM IST
রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি, জেলায় জেলায় ত্রানশিবিরে আশ্রয় নিয়েছে লক্ষাধিক ঘরছাড়া

ওয়েব ডেস্ক: জলে ভাসছে বীরভূমের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝাড়খণ্ড আর বিহারের জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ায় বিপর্যস্ত গোটা জেলা। তিলপাড়া, বইধারা, মাসাঞ্জোর থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হয়েছে। হিংলো ব্যারেজ থেকেও জল ছাড়া হয়েছে। আর এতেই ফুঁসছে ময়ূরাক্ষী, সিদ্ধেশ্বরী, ব্রাহ্মণী, দ্বারকা সহ বিভিন্ন নদী। সাঁইথিয়ায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে নদীর চরে দাঁড়িয়ে থাকা বালিবোঠাই একটি ট্রাক।

লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন বর্ধমানের জামালপুরের কুড়িটি গ্রাম। মেমারি এক ও দু নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। কালনার বন্যা পরিস্থিতিও ক্রমশ জটিল হচ্ছে। জল জমেছে ভাতারের বেশ কিছু অংশে। ধানচাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। পূর্বস্থলী, কেতুগ্রামের অবস্থাও ভালো নয়। ভাগিরথীর সঙ্গে সঙ্গে কুনুর এবং খড়ি নদীর জলও বাড়ছে। 

পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট, তমলুক, ময়না, এগরা সহ বহু এলাকা এখনও জলমগ্ন। তার ওপর লাগাতার বৃষ্টিতে বাড়ছে দুর্ভোগ। গ্রামের পর গ্রাম জলের তলায় চলে গিয়েছে। টিউবয়েলগুলিও জলের তলায়। ফলে বহু জায়গায় পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে।

জলের তলায় আরামবাগের বিস্তীর্ণ এলাকা। আর তাতেই ত্রাণ নিয়ে জায়গায় জায়গায় বাড়ছে ক্ষোভ। গতকাল শুষনি গ্রামের প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার একটি মাদ্রাসায় আশ্রয় নেয়। সেখানে পৌছনো খাবার পর্যাপ্ত না হওয়ায় দানা বাঁধে ক্ষোভ। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বন্যা দুর্গত মানুষ।

লাগাতার বৃষ্টি আর ডিভিসি থেকে ছাড়া জলে ভাসছে হুগলির সাতটি ব্লক। আরামবাগ, গোঘাট, পাণ্ডুয়া, খানাকুল, পুড়শুরা, বলাগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। ভেঙে পড়েছে বহু কাঁচা বাড়ি। নিম্ন দামোদর এলাকার প্রায় কুড়ি হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। গোটা জেলায় তৈরি হয়েছে তিনশোটি ত্রাণশিবির। আজ আরামবাগ, খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

উলুবেড়িয়ার কাছে জেটি ঘাটায় গঙ্গা নদীর পাড়ে বড়সড় ফাটল দেখা দিয়েছে। আর এতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। গঙ্গা আর উলুবেড়িয়ার মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই নদীবাঁধ। এই বাঁধ ফাটলে বড়সড় বিপদ হবে বলে আশঙ্কা সাধারণ মানুষের। ওই বাঁধের ওপর রয়েছে বহু দোকান। সেগুলির কয়েকটি হেলে গিয়েছে। অভিযোগ দীর্ঘদিন এই বাঁধ মেরামতি হয়নি। 

লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুর্শিদাবাদ। জেলার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। সবথেকে খারাপ অবস্থা কান্দি মহকুমার। হিজল ভরতপুর, খড়গ্রাম, নবগ্রাম কার্যত জলের তলায়। নবগ্রামে ভেঙে গিয়েছে নদীবাঁধ। ফলে হু-হু ঢুকছে জল। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। গতকাল দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান জেলাশাসক।

.