জলের ট্যাঙ্কারে তুঘলকি নিষেধাজ্ঞা প্রশাসনের, আতান্তরে গ্রামবাসীরা
কোনওরকম আগাম নোটিস ছাড়াই বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দিল প্রশাসন। মহম্মদবাজারের বিডিও সম্প্রতি ট্যাঙ্কারে পানীয় জল সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। যদিও কোনও কারণ জানাননি তিনি। আর এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন একাধিক গ্রামের মানুষ। জীবনধারণের জন্য বালি সরিয়ে মাটির নীচে জলের সন্ধান করছেন তাঁরা।
কোনওরকম আগাম নোটিস ছাড়াই বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দিল প্রশাসন। মহম্মদবাজারের বিডিও সম্প্রতি ট্যাঙ্কারে পানীয় জল সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। যদিও কোনও কারণ জানাননি তিনি। আর এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন একাধিক গ্রামের মানুষ। জীবনধারণের জন্য বালি সরিয়ে মাটির নীচে জলের সন্ধান করছেন তাঁরা।
জলের অপর নাম জীবন। এই প্রবাদ তো আমাদের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। কিন্তু সেকথা বোধহয় ভুলতে বসেছে পরিবর্তনের জমানার প্রশাসন। ভুলতে বসেছেন আমলারা। মাথার ওপর খাঁ খাঁ রোদ। প্রাকৃতিক জলের স্তর নেমে গেছে অনেক নীচে। লাল মাটির রুক্ষ বীরভূমে জলের সমস্যা নতুন কিছু নয়। এতদিন তাই ট্যাঙ্কারে পানীয় জলের সরবরাহ করা হত গ্রামে গ্রামে। এবার হঠাত্ই সেই পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহম্মদবাজারের বিডিও। কেন। কী কারণে এই সিদ্ধান্ত। সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। অথচ প্রখর এই গ্রীষ্মে জীবনদায়ী জলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গভীর সঙ্কটে পড়েছেন একাধিক গ্রামের মানুষ।
প্রাণ বাঁচাতে কোথাও মজে যাওয়া নদীর বালি খুঁড়ে জলের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করছেন গ্রামের মানুষ। বাধ্য হয়ে পান করতে হচ্ছে পুকুরের দূষিত জলও। গ্রামবাসীদের এই শোচনীয় অবস্থা নিয়ে মাথাব্যথা নেই শাসক দলের স্থানীয় দলের স্থানীয় নেতাদের।