ছড়ায় ছড়ায় দেওয়াল গুলি যেন সব পত্রিকা
ভোটযুদ্ধেও হাজির সাহিত্যের রসদ। দেওয়ালে তুলির স্পর্শেই হোক বা খাতায় কলমের আঁচড়। বাঁকুড়ার দেওয়ালে দেওয়ালে এখন বেশ জমে উঠেছে ছড়া। ভোটবঙ্গে দেওয়ালরঙ্গের দাপট এখন বেশ চড়া।
ওয়েব ডেস্ক: ভোটযুদ্ধেও হাজির সাহিত্যের রসদ। দেওয়ালে তুলির স্পর্শেই হোক বা খাতায় কলমের আঁচড়। বাঁকুড়ার দেওয়ালে দেওয়ালে এখন বেশ জমে উঠেছে ছড়া। ভোটবঙ্গে দেওয়ালরঙ্গের দাপট এখন বেশ চড়া।
ভোট আসে, ভোট যায়। বদলে যায় ভাষা। বদলে যায় দেওয়াল লিখন।
সাহিত্যের অলিতি-গলিতে দাপিয়ে বেড়ায় ভোটপ্রচার। আরও একটা পুরভোট দোড়গোড়ায়। পাওয়া-না পাওয়ার যন্ত্রণা অথবা বিরোধীপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, সবকিছুই জায়গা করে নিচ্ছে ছড়ায়-কবিতায়। একসময় বিপক্ষের বিরোধিতা থেকে শুরু করে ভোটের ইস্যু, এমনকী ভোটারদের কাছে প্রতিশ্রুতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে সব দলেরই মূল হাতিয়ার ছিল দেওয়াল লিখন। কালের বিবর্তনে প্রচারে এখন বেশি গুরুত্ব পায় হরেক রকমের ছাপানো ফ্লেক্স, ব্যানার। গুরুত্ব হারিয়েছে ভোটকে কেন্দ্র করে লেখা ছোট ছোট ছড়া। আগে ভোটের আগে দেওয়ালগুলি হয়ে উঠত এক একটা দেওয়াল পত্রিকা। ছড়ার আকারে রাজনৈতিক দলগুলির নিজেদের মধ্যে চুলোচুলি যেমন থাকত তেমনি থাকত স্থানীয় ইস্যু ও প্রতিশ্রুতি। ছড়াগুলি ছিল দেওয়াল লিখনের মূল আকর্ষণ। সে ছবি এখন অনেকটাই ফিকে। রাজনৈতিক দলগুলি এখন কলম বা তুলির জোরের থেকে অনেক বেশি দেখাতে চায় বাহুবল, লোকবল আর অর্থবল। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রার্থীদের দেওয়াল লিখনে দেখা মিলছে ভোটের ছড়া। কবিদের কলমেও উঠে আসছে পাওয়া, না-পাওয়া, স্বপ্নপূরণ ও স্বপ্নভঙ্গের নানা কাহিনী।