ইটভাটার গনগনে আগুনে পুড়ে ছাই দুই শিশু কন্যা
বাবাকে খুঁজতে গিয়েই হারিয়ে গেল ছোট্ট দুটো প্রাণ। ইটভাটার গনগনে আগুনে পুড়ে ছাই দুই শিশু কন্যা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়ার তিন্না ইটভাটায়। এরপরেই ইটভাটায় ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। পুলিস এসে ভেঙে দেয় বেআইনি ইটভাটা।
ওয়েব ডেস্ক: বাবাকে খুঁজতে গিয়েই হারিয়ে গেল ছোট্ট দুটো প্রাণ। ইটভাটার গনগনে আগুনে পুড়ে ছাই দুই শিশু কন্যা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়ার তিন্না ইটভাটায়। এরপরেই ইটভাটায় ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। পুলিস এসে ভেঙে দেয় বেআইনি ইটভাটা।
পাণ্ডুয়া থানার অন্তর্ভূক্ত এই তিন্না ইটভাটা। বছর দশকের স্বপ্না কুমারী সঙ্গে খুড়তুতো বোন বছর তিনেকের নন্দিনী কুমারি। বাবাকে খুঁজতে খুঁজতেই দুই শিশু চলে আসে ইটভাটার মরণকূপের সামনে। খেয়াল করেনি সামনেই মরণফাঁদ। ইটভাটার খোলামুখ ঢাকা ফাইবার বোর্ডের ঢাকনায়। তলায় গনগনে আগুন। অবুঝ দুই শিশু বুঝতে না পেরে ঢাকনায় পা দিতেই নরম প্লাইবোর্ড গলে ইটভাটার গনগনে আগুনে পড়ে যায়। বড় দিদি স্বপ্না হাত তুলে শেষবারের মতো বাঁচার আর্তিও জানিয়েছিল। কিন্তু শুনশান ইটভাটায় দুই শিশুকে বাঁচানোর মতো তখন কেউই ছিল না।
ঘটনার পরেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ভাঙচুর চালায় ইটভাটায়। পরে পুলিস এসে লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা পে-লোডার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। গোটা ঘটনায় বড়সড় প্রশ্নের মুখে ইটভাটার সুরক্ষা।