টিভির প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত পরিবার

ফের টেলিভিশনের পর্দায় প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারণার শিকার হাওড়ার একটি পরিবার। পুরস্কারে গাড়ি দেওয়ার নাম করে ওই পরিবারের থেকে দফায় দফায় প্রায় দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে ব্যাঁটরা থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই পরিবার। কিন্তু পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।

Updated By: May 20, 2015, 10:47 AM IST

ওয়েব ডেস্ক: ফের টেলিভিশনের পর্দায় প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারণার শিকার হাওড়ার একটি পরিবার। পুরস্কারে গাড়ি দেওয়ার নাম করে ওই পরিবারের থেকে দফায় দফায় প্রায় দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে ব্যাঁটরা থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই পরিবার। কিন্তু পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।

টেলিভিশনের স্ক্রিনে দেখানো ছবি কার, সেটা ফোন করে বলে দিলেই কেল্লাফতে। সঠিক উত্তরদাতারা পুরস্কার হিসেবে পেতে পারেন মোটা টাকা কিম্বা দামি এসইউভি গাড়ি। একটি চ্যানেলে বহুদিন ধরে চলছে এরকমই একটি আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান। কিছুদিন আগে সেরকমই একটি ছবি দেখে ফোন করে সঠিক উত্তর দিয়েছিলেন হাওড়ার এক বাসিন্দা।  উত্তরদাতা ভেবেছিলেন,  পুরস্কারের টাকা পেলে ব্রেন টিউমার নিয়ে নার্সিংহোমে চিকিত্‍সাধীন বাবার চিকিত্‍সার খরচ উঠে আসবে। কিন্তু অনুষ্ঠানটা যে পুরোটাই সাজানো, সেটা বুঝে উঠতে উঠতে প্রায় পথে বসার উপক্রম গোটা পরিবারের।

কিছুদিন পরে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের তরফে ওই ব্যক্তির বাড়িতে ফোন করে বলা হয় যা তাঁরা প্রথম পুরস্কার জিতেছেন। ১২ লক্ষ টাকা অথবা টাটা সাফারি গাড়ি, কোনটা পছন্দ, জানতে চাওয়া হয়। তাঁরা বলেন, টাকা নয়, তাঁদের পছন্দ গাড়ি।

গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ প্রথমে ১২ হাজার ৬০০ টাকা দাবি করা হয়। সেইমত নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা করেন হাওড়ার বাসিন্দা। এরপর গাড়ি পৌঁছে দেওয়ার খরচ ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকাও ব্যাঙ্কে জমা করার পর বলা হয়, গাড়ি ট্রাকে করে যাচ্ছে। তবে দুটো চাকা ফেটে গিয়েছে। তারজন্য আরও ৪০ হাজার টাকা লাগবে। তারপরেও গাড়ি হাতে না পেয়ে সংস্থায় ফোন করলে বলা হয়, গাড়ি চেকপোস্টে আটকে আছে। ছাড়াতে লাগবে আরও ২৩ হাজার টাকা। এভাবে খেপে খেপে প্রায় ২ লক্ষ টাকা প্রতারিত হওয়ার পর হুঁশ ফেরে হাওড়ার পরিবারের।

অবশেষে ব্যাঁটরা থানায় এবিষয়ে অভিযোগ জানান তাঁরা। তবে পুলিস এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি পরিবারের। এদিকে প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পড়ে গোটা পরিবারের মাথায় হাত। আগামী দিনে কিভাবে সংসার চলবে, সে চিন্তাই এখন তাঁদের কুরেকুরে খাচ্ছে।

.