ফের বাইক-মিছিল বিতর্ক

ফের বাইক-মিছিল বিতর্ক। এবার উত্তর দিনাজপুরে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে, শ-খানেক বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ালেন শাসক দলের দুই প্রার্থী। প্রশ্নের মুখে পড়ে তাঁদের যুক্তি, আসলে ভিড় করেছিল উত্‍সাহী জনতা।

Updated By: Mar 24, 2016, 09:11 PM IST
ফের বাইক-মিছিল বিতর্ক

ওয়েব ডেস্ক: ফের বাইক-মিছিল বিতর্ক। এবার উত্তর দিনাজপুরে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে, শ-খানেক বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ালেন শাসক দলের দুই প্রার্থী। প্রশ্নের মুখে পড়ে তাঁদের যুক্তি, আসলে ভিড় করেছিল উত্‍সাহী জনতা।

নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণ বিধিকে বুড়ো আঙুল। প্রায় শ'খানেক বাইক নিয়ে, মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিলেন ইটাহারের ও রায়গঞ্জের দুই  তৃণমূল প্রার্থী অমল আচার্য এবং পূর্ণেন্দু দে। রায়গঞ্জের কসবা মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। প্রায় ১০ কিলোমিটার দাপিয়ে, তা শেষ হয় কর্ণজোড়া জেলা শাসকের অফিসে। ছিল, শ-খানেক বাইক এবং প্রায় তার চেয়েও বেশি সংখ্যায় চারচাকা গাড়ি।  

এতদিন পর্যন্ত মিছিলের সামনে ৩টি করে বাইক ব্যবহারের অনুমতি পেত রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু এবার আরও কড়া নির্বাচন কমিশন। তাঁদের নির্দেশ, ভোট প্রচারে কোনওভাবেই বাইক ব্যবহার করা যাবে না। এই নির্দেশিকা জারির পরও দেখা যাচ্ছে, চলছে উলটপুরাণ। যদিও প্রার্থীর এই যুক্তিতে চিঁড়ে ভেজেনি। কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে বামেরা।

এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বাইক-বিতর্কে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। ১৪ মার্চ তারাপীঠ থেকে ময়ূরেশ্বরে যাওয়ার পথে প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জির প্রচারে, বাইক মিছিল করে বিজেপি কর্মীরা। এনিয়ে কমিশনে নালিশও জানায় তৃণমূল। লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হয় ময়ূরেশ্বর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে। এর কয়েকদিন পরেই, ১৮ মার্চ খড়গপুর সদর কেন্দ্রের তৃণমূলেরই প্রার্থী রমাপ্রসাদ তিওয়ারি বাইক-মিছিল করেন। বারবার সতর্ক করছে কমিশন। তবু নির্দেশ যে মানা হচ্ছে না, আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে সেটাই দেখাল উত্তর দিনাজপুরের এই ছবি।

.