বীরভূমে পুলিসকর্মীর মৃত্যুতে কাঠগড়ায় তৃণমূল
দুবরাজপুর: বীরভূমে পুলিসকর্মীর মৃত্যুতে কাঠগড়ায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
দুবরাজপুর: বীরভূমে পুলিসকর্মীর মৃত্যুতে কাঠগড়ায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জুন মাসে বীরভূমের আউলিয়ায় আক্রান্ত হন এসআই অমিত চক্রবর্তী। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা মারা হয়। দেড়মাস কোমায় থাকার পর আজ মারা গেলেন ওই এসআই। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির পুলিসকে লক্ষ্য করে বোমা মারার হুমকির মূল্যই কী প্রাণ দিয়ে চোকাতে হল অমিত চক্রবর্তীকে? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।
৩ জুন রাজনৈতিক সংঘর্ষ থামাতে গোপালপুর আউলিয়া গ্রামে গিয়েছিলেন দুবরাজপুরে এসআই অমিত চক্রবর্তী। তাঁকে লক্ষ্য করে একের পর এক বোমা। কোমায় চলে যান তিনি। দেড়মাস পর থেমে গেল লড়াই। দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেলেন এসআই অমিত চক্রবর্তী।
অমিত চক্রবর্তীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে সেই শেখ আলিম এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। পুলিসের খাতায় ফেরার হলেও দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষএলাকায় বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ।
অমিত চক্রবর্তী প্রথম নয়। রাজনৈতিক কর্মীদের হাতে বহুবার আক্রান্ত হয়েছেন পুলিসকর্মীরা। এমনকি প্রাণও দিয়েছেন। সেই তালিকায় যোগ হল আরেক এসআইয়ের নাম। বীরভূমের এই দুবরাজপুরে দাঁড়িয়েই তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বলতে শোনা গিয়েছিল পুলিসকে বোমা মারার কথা।
তারপরই বোমার শিকার অমিত চক্রবর্তী। প্রাণ গেল আরেক পুলিস কর্মীর। এমনটাই চেয়েছিলেন অনুব্রত? প্রশ্ন বিরোধীদের।
অনুব্রত মণ্ডল বললেন, তাঁর দলের কর্মীরা বোমা ছুঁড়লেন আর পুলিস কর্মীর মৃত্যু হল ব্যাপারটা হয়তো এমনটা নয়। কিন্তু, নেতার মঞ্চ থেকে পুলিসকে লক্ষ্য করে বোম ছোঁড়ার কথা বললে কর্মীরা যে উত্সাহিত তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেলেন এসআই অমিত চক্রবর্তী।