ভাঙড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন তৃণমূল যুব নেতা, গ্রেফতার ৪
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়ে খুন হলেন তৃণমূল যুব নেতা। নিহত নেতার নাম রাজ্জাক সর্দার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিংহেশ্বর বাজারের কাছে তাঁর ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ব্যাপক বোমাবাজি করে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। হামলার সময় এলাকা অন্ধকার করে দেওয়া হয়।
ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা খুনে ইতিমধ্যে তিন তৃণমূল নেতাকেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলা সভাপতি তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে টেলিফোনে নির্দেশ দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই পুলিস গ্রেফতার করে তৃণমূলের দুর্গাপুর অঞ্চল সভাপতি সফে আলি গায়েন, পঞ্চায়েত সদস্য সমীর রুইদাস ও কর্ণ নস্করকে।
গতকাল সন্ধ্যায় সিংহেশ্বর বাজারের কাছে আক্রান্ত হন তৃণমূলের যুব নেতা রাজ্জাক সর্দার। তিনি ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের ঘনিষ্ঠ। গোটা এলাকা অন্ধকার করে ব্যাপক বোমাবাজির পর রাজ্জাককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিতসকেরা।
গতকাল রাতেই ভাঙড় এক নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি জাহাঙ্গির খান চৌধুরী সহ বারো জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন রাজ্জাকের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বন্দুকের ভাঙা অংশ ও তিনটি বোমা। বুধবার সকাল থেকে ভাঙড় থানা এলাকায় বনধ চলছে। এলাকায় সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে পরীক্ষার্থীদের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে পরিবহণে।