উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়জয়কার। ব্যবধান বাড়িয়ে তৃণমূলের জয় বনগাঁ, কৃষ্ণগঞ্জে। বনগাঁয় দ্বিতীয় বামেরা, কৃষ্ণগঞ্জে দ্বিতীয় বিজেপি
মন্ত্রীর দল ছেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও বনগাঁ লোকসভা আসন সহজেই ধরে রাখল তৃণমূল। অন্যদিকে, কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবধান বাড়িয়ে জিতল শাসক দল।
বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী ২,১১,৭৯৪ ভোটে। গত বছর লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল জিতেছিল ১,৪৬,৬০১ ভোটে। অর্থাত্ তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান বাড়ল ৬৫ হাজার ১৯৩। বিজেপি তৃতীয় স্থানে থাকল। বামফ্রন্ট দ্বিতীয় স্থানে।
কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী ৩৭ হাজার ৩৩ টি ভোটে। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল জিতেছিল ২০ হাজার ৯৩৪ ভোটে। অর্থাত্ তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান বাড়ল প্রায় ১৬ হাজারটি ভোট। বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে থাকল। বামফ্রন্ট তৃতীয় স্থানে শেষ করল।
---------------------------------------------------------------------------
ওয়েব ডেস্ক: শাসক দলকে স্বস্তি দিল রাজ্যের দুটি উপনির্বাচনের ফলাফল। মন্ত্রীর দল ছেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও বনগাঁ লোকসভা আসন সহজেই ধরে রাখল তৃণমূল। অন্যদিকে, কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবধান বাড়িয়ে জিতল শাসক দল।
গণনার শুরু থেকে দুটি কেন্দ্রেই লিড নিতে শুরু করেছিল তৃণমূল, আসল লড়াইটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মূলত দ্বিতীয় স্থান নিয়ে। বনগাঁয় গণনার রাউন্ড যত বেড়েছে ততই মার্জিন বাড়িয়েছে তৃণমূল। শেষ অবধি দেখা গেল জয়ের মার্জিন ২ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। কিন্তু দ্বিতীয় স্থান নিয়ে রীতিমত লড়াই চলছে বিজেপি, সিপিআইএম প্রার্থীর মধ্যে। প্রথম বেশ কয়েকটা রাউন্ডে তৃণমূলের পিছনে ছিল বিজেপি, কিন্তু ১৩ রাউন্ডের পর থেকে দ্বিতীয় স্থানের লড়াইয়ে উঠে আসেন সিপিআইএম প্রার্থী দেবেশ দাস। শেষ অবধি দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিপিআইএম প্রার্থী দেবেশ দাস পেলেন ৩ লক্ষ ২৮ হাজার ১৯৬ ভোট। তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থী সুব্রত ঠাকুর পেলেন ৩,১৪, ১১৯টি ভোট। এই কেন্দ্রে বিজেপি-র ভোট ৬৯ হাজারের মত বাড়লেও দ্বিতীয় স্থান পেতে পারল না বিজেপি।
গত বছর এই কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল জিতেছিল ১,৪৬,৬০১ ভোটে। মার্জিনের বিচারে নিজের স্বামী কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের সেই জয়কেও ছাপিয়ে গেলেন মমতাবালা ঠাকুর। গত বছর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ২১৩ টি ভোট, সেখানে এবার তৃণমূল পেল ৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৯০ টি ভোট।
কৃষ্ণগঞ্জে প্রথম পাঁচটা রাউন্ড গণনার শেষে দুই নম্বরে ছিল বামফ্রন্ট প্রার্থী। কিন্তু তারপর থেকেই কৃষ্ণগঞ্জে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ক্রমশ বাড়িয়ে কৃষ্ণগঞ্জ জিতে নেন তৃণমূল প্রার্থী সত্যজিত্ বিশ্বাস। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯৫, ৪৬৯ (৪৭.৮৪%)। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি-র ভোট একলাফে অনেকটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮,৪৩৬ (২৯.২৮%)। রক্তক্ষরণ অব্যাহত রেখে বামেদের ভোটে ব্যাপক ধস নেমে দাঁডি়য়েছে ৩৭, ৬২০(১৮.৮৫%)। জামানত জব্দ হয়ে তলিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস।
বনগাঁর দীনবন্ধু কলেজ ও নদিয়ার রাণাঘাট কলেজে গণনা হচ্ছে। তেরোই ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে দুই কেন্দ্রেই ভোট পড়েছে ৮২ শতাংশের বেশি। চতুর্মুখী নির্বাচনে রিগিং বা সন্ত্রাসের অভিযোগ বিশেষ ওঠেনি।