নন্দীগ্রামে শহীদ দিবসে সব ছাপিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের মুকুল বিরোধিতা
উপলক্ষ্য নন্দীগ্রাম দিবস। শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে তৃণমূলের বিভাজন চলে এল প্রকাশ্যে। রাস্তা আটকে, বিক্ষোভ দেখিয়ে রীতিমতো ব্রাত্য করে দেওয়া হল মুকুল রায়কে। চেষ্টা করেও শহিদবেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে পারলেন না তৃণমূলের একসময়ের সেকেন্ড ইন্ড কমান্ড।
ব্যুরো: উপলক্ষ্য নন্দীগ্রাম দিবস। শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে তৃণমূলের বিভাজন চলে এল প্রকাশ্যে। রাস্তা আটকে, বিক্ষোভ দেখিয়ে রীতিমতো ব্রাত্য করে দেওয়া হল মুকুল রায়কে। চেষ্টা করেও শহিদবেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে পারলেন না তৃণমূলের একসময়ের সেকেন্ড ইন্ড কমান্ড।
বক্তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যাঁর উদ্দেশে বলা, তিনি মুকুল রায়। স্থান নন্দীগ্রাম। মুকুল রায় তখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কোন ফাঁক দিয়ে ঢোকা যায় ভাঙাবেড়ায়। শহিদবেদিতে মালা দিতে।
আজ থেকে আট বছর আগে সিপিআইএমের জন্য সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল তৃণমূল। ঠিক একইভাবে একসময় দলের সেকেন্ড ইন্ড কমান্ডের জন্য সমস্ত প্রবেশদ্বার আটকে রেখেছিলেন তৃণমূলের কর্মীরা।
ভাঙাবেড়ায় তখন রীতিমতো চাঁদের হাট। শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম। আর তৃণমূল কংগ্রেসের হাজার কয়েক কর্মী। কিন্তু সকাল থেকে উত্তেজনার পারদ বেড়েছে যাঁকে ঘিরে, তিনি মুকুল রায়। ঢুকে পড়লেন না তো! সব ঠিক আছে তো! ঘনঘন নেতাদের মোবাইলে ঢুকেছে এসএমএস। যদিও মুখে কেউ স্বীকার করতে নারাজ মুকুল-কাণ্ড তাঁরা বিন্দুমাত্র জানতেন!
আসলে মুকুলের বিরুদ্ধে দলের মধ্যে যে লড়াইটা শুরু করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব, নন্দীগ্রামে তা এল প্রকাশ্যে। নন্দীগ্রাম আন্দোলেন মুকুলের কতটা অবদান ছিল তা এখন অতীত। বর্তমান একটাই, মুকুল এখন তৃণমূলের ত্যাজ্যসন্তান।