লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শিক্ষকের শূন্যপদ, মাস্টারমশাইদের নিয়োগে এখনও জিজ্ঞাসাচিহ্ন

ভোট মিটে গেছে। মন্ত্রিসভাও শপথ নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু, শিক্ষক নিয়োগের নামগন্ধ নেই। পরীক্ষার ফল কবে বেরোবে কেউ জানেন না। যাঁদের প্রশিক্ষণ নেই তাঁদের নিয়োগেও মস্তবড় জিজ্ঞাসাচিহ্ন।  

Updated By: Jun 6, 2016, 07:37 PM IST
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শিক্ষকের শূন্যপদ, মাস্টারমশাইদের নিয়োগে এখনও জিজ্ঞাসাচিহ্ন

ওয়েব ডেস্ক: ভোট মিটে গেছে। মন্ত্রিসভাও শপথ নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু, শিক্ষক নিয়োগের নামগন্ধ নেই। পরীক্ষার ফল কবে বেরোবে কেউ জানেন না। যাঁদের প্রশিক্ষণ নেই তাঁদের নিয়োগেও মস্তবড় জিজ্ঞাসাচিহ্ন।  

তৃণমূল সরকারের প্রথম দফায় শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কার হয়েছে বিস্তর। বহু প্রাথমিক স্কুল উচ্চ প্রাথমিক হয়েছে। মাধ্যমিক স্কুল হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক। অতিরিক্ত ছাত্রকে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, শিক্ষক? না তাদের সংখ্যা বাড়েনি। 

সময়ের স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই গত পাঁচ বছরে অবসর নিয়েছেন বহু শিক্ষক।
স্কুলগুলিতে ছাত্রসংখ্যা বাড়ায় শিক্ষকের চাহিদা বেড়েছে হু হু করে।    
নিয়োগ না হওয়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শিক্ষকের শূন্যপদ। 
ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাতের ফাটল দিনে দিনে আরও চওড়া হচ্ছে। 

শিক্ষা ব্যবস্থার ঢিলে হয়ে যাওয়া বাঁধুনি টাইট করতে খুব দ্রুত শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ প্রয়োজন। গত বছরই প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে। রেজাল্ট এখনও বেরোয়নি। পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে NCTE-র নির্দেশিকা। 

NCTE-র নিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষণহীনদের শিক্ষক পদে নিয়োগ করা যাবে না। বারবার অনুরোধের পর ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিয়ম শিথিল করেছিল NCTE। শর্ত ছিল ৩১ মার্চের মধ্যে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। নিয়োগ তো দূরের কথা পরীক্ষার ফলই প্রকাশ হয়নি। স্কুল সার্ভিস কমিশন ও প্রাইমারি বোর্ডের দাবি, মামলা চলায় ফল প্রকাশ করা যায়নি। আদালতের তরফে অবশ্য ফলপ্রকাশে কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। 

রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, বিধানসভা ভোটের আগে ফলপ্রকাশ ও নিয়োগ নিয়ে নতুন করে কোনও বিতর্কের মুখে পড়তে চায়নি রাজ্য। শিক্ষক নিয়োগের নিয়ম শিথিল করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর তরফেই অনুরোধ জানানো হয়েছে NCTE-র কাছে। কিন্তু, দুবার অনুরোধ জানানোর পরেও NCTE-র তরফে কোনও উত্তর আসেনি।

শিক্ষকমহল মনে করছে, রাজনৈতিক সমীকরণের জোরে NCTE-র থেকে সময়সীমা আরেকটু বাড়িয়ে নেওয়া রাজ্যের পক্ষে খুব কঠিন হবে না। কিন্তু, বারবার এই ধরনের ছাড়ের বিরোধিতায় ফের মামলা হতে পারে আদালতে। সেক্ষেত্রে ফের আটকে যেতে পারে নিয়োগ প্রক্রিয়া। 

.