প্রতিশ্রুতিই সার, বন্ধ চা বাগানের দরজা আজও খুলল না
বন্ধ হয়েছে বিনামূল্যের চিকিত্সা পরিষেবা। চব্বিশ ঘণ্টার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা তো দূর অস্ত নেই প্রাথমিক চিকিত্সা করাবারও সামর্থ। আর তাই চোখের সামনে আপনজনদের মৃত্যু দেখাকেই নিজেদের ভবিতব্য বলে মেনে নিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের ঢেকলাপাড়া চা বাগানের ১২টি শ্রমিক পরিবার। চা বাগান বন্ধ হওয়ার পর চরম অভাবে এইভাবেই কোনও মতে বেঁচে আছেন তারা। ক্ষমতায় আসার পর ১৮ মাস পেরিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বহু কিছুই আজও পালন করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। বন্ধ চা বাগান খোলার প্রতিশ্রুতি তারই অন্যতম।
বন্ধ হয়েছে বিনামূল্যের চিকিত্সা পরিষেবা। চব্বিশ ঘণ্টার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা তো দূর অস্ত নেই প্রাথমিক চিকিত্সা করাবারও সামর্থ। আর তাই চোখের সামনে আপনজনদের মৃত্যু দেখাকেই নিজেদের ভবিতব্য বলে মেনে নিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের ঢেকলাপাড়া চা বাগানের ১২টি শ্রমিক পরিবার। চা বাগান বন্ধ হওয়ার পর চরম অভাবে এইভাবেই কোনও মতে বেঁচে আছেন তারা। ক্ষমতায় আসার পর ১৮ মাস পেরিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বহু কিছুই আজও পালন করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। বন্ধ চা বাগান খোলার প্রতিশ্রুতি তারই অন্যতম।
আলিপুরদুয়ারের বন্ধ চা বাগানের পরিস্থিতি পরিদর্শনে গেছেন নেতা- মন্ত্রীরা। কিন্তু ঢেকলাপাডা চা বাগান যে তিমিরে ছিল আজও সেই তিমিরেই। বলা হয়েছিল, বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিত্সা পাবেন বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকরা। মিলবে ২৪ ঘণ্টার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাও। এমনকী অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়া গেলে রোগীকে যে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে তার ভাড়াও মেটাবে সরকার। নতুন সরকারের প্রথম ৬ মাস সব ঠিকঠাক চলছিল। তারপর সব বন্ধ। সরকারি হাসপাতালে বন্ধ হয়েছে বিনামূল্যের চিকিত্সা পরিষেবা। সরকারের তরফে নেই অর্থসাহায্যও। কার্ড না থাকায় কোনও রকম চিকিত্সাই করাতে পারছেন না বিপিএল তালিকাভুক্ত ১২টি পরিবার।
দুবেলা দুমঠো অন্ন জোটাতেও হিমসিম খাচ্ছেন হতদরিদ্র চা শ্রমিকরা। অর্ধাহার এবং অনাহারে ধুঁকছেন ঢেকলাপাড়া চা বাগানের শ্রমিকরা। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠিও লিখেছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। কিন্তু সাড়া মেলেনি। সরকারের আশ্বাসবাণী বাস্তবায়িত হবে এ আশাও তারা ভুলতে বসেছেন।