সুটিয়া কাণ্ডে তদন্তে নামল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন, ধৃতদের ১০ দিনের পুলিসি হেফাজত

প্রতিবাদী মঞ্চের নেতা শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় ধৃতদের ১০ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। একইসঙ্গে আজই নিজস্ব তদন্তকারী দলের মাধ্যমে এই খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।

Updated By: Jul 10, 2012, 09:39 PM IST

প্রতিবাদী মঞ্চের নেতা শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় ধৃতদের ১০ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। একইসঙ্গে আজই নিজস্ব তদন্তকারী দলের মাধ্যমে এই খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।
সুটিয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদী মঞ্চের সম্পাদক শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে বেশকিছু তথ্য পেয়েছে পুলিস। পুলিসসূত্রে জানা গেছে, জেলবন্দি সুশান্ত চৌধুরী এই খুনের সুপারি দিয়েছিল। অন্য একটি মামলায় অভিযুক্ত বলাই মালাকারের সঙ্গে তার এবিষয়ে কথা হয়। এই বলাই মালাকারই দায়িত্ব দেয় শুভঙ্কর বিশ্বাস ওরফে ফটকেকে। ফটকে খুনের জন্য নিয়োগ করে দেবাশিস সরকার ওরফে বিশ্বকে। বিশ্ব নহাটা কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক। বিশ্ব একটি দল তৈরি করে। সেই দলে ছিল তার ঘনিষ্ঠ সুমন্ত দেবনাথ, বিশ্বজিত্ ও রাজু সর্দার। স্থানীয় দুস্কৃতী ভীমের দায়িত্ব বিশ্বাস ওরফে ফটকের সঙ্গে সুটিয়া কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত সুশান্ত চৌধুরীর যোগাযোগ হয় বলাই মালাকার নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে। পুলিসসূত্রে খবর, শুভঙ্করকে বরুণ বিশ্বাসকে খুনের জন্য সুপারি দেওয়া হয়। এরপর শুভঙ্কর দল তৈরির দায়িত্ব দেয় নহাটা কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক দেবাশিস সরকারকে। প্রাথমিকভাবে মছলন্দপুরের ভেতরে একটি জায়গা বাছা হয় খুনের জন্য। কিন্তু জায়গা পছন্দ হয়না দেবাশিসের। এরপর আরও দু-তিনটি জায়গা ঘুরে গোবরডাঙা স্টেশন চত্বর পছন্দ করা হয়। ঠিক হয়,
যখন ট্রেন থেকে নেমে বাইক নিতে যাবেন বরুণবাবু , তখনই তাঁর ওপর হামলা হবে। পুলিসসূত্রে জানা গেছে , পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনাস্থলে যায় অভিযুক্তরা । আগ্নেয়াস্ত্রে কার্তুজ ভরে সুমন্তর হাতে দেয় দেবাশিস। বরুণ বিশ্বাস ট্রেন থেকে নামতেই তাঁকে চিনিয়ে দেয় ভীম বিশ্বাস। অভিযোগ, শিক্ষককে গুলি করে সুমন্ত দেবনাথ।
 
ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করেছে পুলিস। উদ্ধার করা হয়েছে ব্যবহৃত কার্তুজের খোল। বলাই মালাকারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। ধৃতদের দশদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে , আদালতে অভিযুক্ত একাদশ শ্রেণীর ছাত্র সুমন্ত দেবনাথের বয়স আঠারো বছরের নীচে বলে একটি সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয় । এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সরকারি আইনজীবীরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার ফের শুনানি হবে । প্রতিবাদী মঞ্চের নেতা শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার বনগাঁ আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।  

.