সুচেতা খুন: খুনির দক্ষতায় স্তম্ভিত গোয়ান্দারা

Updated By: Sep 3, 2015, 08:57 PM IST
সুচেতা খুন: খুনির দক্ষতায় স্তম্ভিত গোয়ান্দারা

সমরেশ সরকার পেশাদার খুনি নয়। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার যে কায়দায় সুচেতা ও দীপাঞ্জনার দেহ টুকরো টুকরো করেছে, তাতে যথেষ্ঠ বুদ্ধিমত্তার ছাপ দেখছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।

বঁটি আর ছুরি। এই দুটো জিনিস নিয়েই সুচেতা আর দীপাঞ্জনার দেহ টুকরো টুকরো করেছিল সমরেশ। যে পদ্ধতিতে এই কাজ সে করেছিল, পেশাদার খুনির চেয়ে কোনও অংশে তা কম যায় না। সুচেতা আর দীপাঞ্জনার দেহাংশ পরীক্ষা করে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা যে সিদ্ধান্তে পৌছেছেন, তা হল ---

ট্রলিব্যাগের ভিতর আস্ত মানুষের শরীর কীভাবে ঢোকাতে হবে, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা ছিল সমরেশের

বঁটি আর ছুরি দিয়ে দুজনকে টুকরো টুকরো করা যথেষ্ঠ কঠিন। এখানেও যথেষ্ঠ কৌশলী সমরেশ।

শরীরের যেখানে যেখানে হাড় রয়েছে, সেই জায়গাগুলো এড়িয়ে গিয়েছে সে। যে অংশে হাড় কম, মূলত সেখান থেকেই দেহাংশ আলাদা করা হয়েছে।  

ঠিক একারণেই সুচেতার নাভির ওপর পেটের মাঝামাঝি জায়গা থেকে দেহ দু'টুকরো করা হয়। ব্যাগে ঢোকাতে সুবিধার জন্য ২টি দেহের হাত-পা মুড়িয়ে নাইলনের শক্ত দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়।  

বেনাচিতির দোকান থেকে চারটি ট্রলিব্যাগ কিনেছিল সমরেশ। ওই ট্রলিব্যাগগুলি বড় বড় প্লাস্টিকে মোড়া ছিল।

ওই প্লাস্টিকেই দেহ মুড়ে ট্রলিব্যাগে ভরা হয়

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত, খুনের পর অস্থির মন নিয়ে এতটা সুষ্ঠু ভাবে পুরো বিষয়টা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। খুন ও দেহ লোপাটের চেষ্টার পিছনে অনেকদিনের হোমওয়ার্ক রয়েছে।

অন্যদিকে, জোড়া খুন কাণ্ডে বর্ধমানের লস্করদিঘি থেকে একটি গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিস। গাড়ির মালিক ও চালক নূর হাসান আলিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সুচেতা ও দীপাঞ্জনার দেহাংশ চারটে ট্রলি ব্যাগে ভরে  উনতিরিশে অগাস্ট দুর্গাপুর থেকে বর্ধমান পৌছয় সমরেশ। প্রথম গাড়ির চালক ব্যারাকপুর যেতে রাজি না হওয়ায় বর্ধমান স্টেশন থেকে এই গাড়িটি ভাড়া করেন সমরেশ। সকাল ছটা দশ মিনিটে রওনা হয় গাড়ি। সকাল আটটায় দেহাংশ ভর্তি চারটি ট্রলিব্যাগ নিয়ে সমরেশ পৌছে যায় ব্যারাকপুরের মনিরামপুর ঘাটে। রাতে শ্রীরামপুর থানায় চালক নূর হাসান আলিকে ফের জেরা করে পুলিস।

 

.