বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জয়ী নৈহাটির শুভ্রশঙ্কর

৩৬ হাজার টাকার প্যাকেজ গিয়ে দাঁড়ায় ১৩ লক্ষ টাকায়। তারপরও স্ত্রী-কে বাঁচাতে পারেননি শুভ্রশঙ্কর মুখোপাধ্যায়। নাম করা বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে বিচার পেয়েছেন তিনি। শুভ্রশঙ্করবাবু বলছেন ভাঙচুর নয়। তিনি চান বেসরকারি হাসপাতালকে শিক্ষা দিতে তাঁর মতো বাকিরাও আইনি লড়াইয়ে এগিয়ে আসুন।  

Updated By: Feb 23, 2017, 06:04 PM IST
বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জয়ী নৈহাটির শুভ্রশঙ্কর

ওয়েব ডেস্ক: ৩৬ হাজার টাকার প্যাকেজ গিয়ে দাঁড়ায় ১৩ লক্ষ টাকায়। তারপরও স্ত্রী-কে বাঁচাতে পারেননি শুভ্রশঙ্কর মুখোপাধ্যায়। নাম করা বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে বিচার পেয়েছেন তিনি। শুভ্রশঙ্করবাবু বলছেন ভাঙচুর নয়। তিনি চান বেসরকারি হাসপাতালকে শিক্ষা দিতে তাঁর মতো বাকিরাও আইনি লড়াইয়ে এগিয়ে আসুন।  

নৈহাটির বাসিন্দা রাজ্য সরকারি কর্মী শুভ্রশঙ্কর মুখোপাধ্যায়। সরকারি হেল্থ স্কিমের আওতায় বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে স্ত্রী-কে ভর্তি করেন তিনি। ধরা পড়ে গলব্লাডারে স্টোন। ২০১০-এর ২৩ মার্চ, শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ের অপারেশন হয়। ২ দিন পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ৯ দিন পর ফের পেটের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

শুরু হয় দীর্ঘ আইনি লড়াই। স্ত্রীর চিকিত্‍সকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভ্রশঙ্করবাবু। অভিযুক্ত চিকিত্‍সক আগাম জামিন নেন। স্বাস্থ্য দফতর তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। ক্ষতিপূরণ চেয়ে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে যান শুভ্রশঙ্কর মুখোপাধ্যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও পাল্টা আপিল করে। আইনি লড়াইয়ে জেলা, রাজ্য ও জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের দ্বারস্থ হন শুভ্রশঙ্করবাবু।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা কমিশন অভিযুক্ত চিকিত্‍সককে ১২ লক্ষ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। ক্ষতিপূরণের টাকা এখনও হাতে পাননি শুভ্রশঙ্করবাবু। বলছেন, টাকা পেলে দুই মেয়েকে দিয়ে দেবেন। কিন্তু, স্ত্রীকে তো আর ফিরে পাবেন না। তিনি শুধু চাইছেন, চিকিত্‍সা বিভ্রাটের শিকার সাধারণ মানুষ চুপ করে বসে না থেকে তাঁর মতো মন শক্ত করে লড়াই করুন। (আরও পড়ুন- মিঠুনের বদলে রাজ্যসভায় হয়ত মণীশ, সাংসদ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী চন্দ্রিমাও )

.