আদালতে রাজ্য বনাম কমিশনের লড়াই তুঙ্গে
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সংঘাত অব্যাহত। ভোটের সময় শান্তিরক্ষায় ভোটকেন্দ্র পিছু দু-জন সশস্ত্র এবং ছ-জন নিরস্ত্র পুলিসকর্মী মোতায়েন করা যেতে পারে। আজ আদালতে একথা জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল। এর পাল্টা কমিশনের আইনজীবী বলেন, একটি ভোটকেন্দ্রে একাধিক বুথ থাকতে পারে। সেকারণে ভোটকেন্দ্র পিছু মাত্র দুজন সশস্ত্র পুলিসকর্মী মোতায়েন করে অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সংঘাত অব্যাহত। ভোটের সময় শান্তিরক্ষায় ভোটকেন্দ্র পিছু দু-জন সশস্ত্র এবং ছ-জন নিরস্ত্র পুলিসকর্মী মোতায়েন করা যেতে পারে। আজ আদালতে একথা জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল। এর পাল্টা কমিশনের আইনজীবী বলেন, একটি ভোটকেন্দ্রে একাধিক বুথ থাকতে পারে। সেকারণে ভোটকেন্দ্র পিছু মাত্র দুজন সশস্ত্র পুলিসকর্মী মোতায়েন করে অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।
হাইকোর্টে পঞ্চায়েত মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার সওয়াল-জবাব হয় ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ইস্যুতেই। এদিন শুনানির শুরুতে অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চ্যাটার্জি বলেন, রাজ্যের হাতে এই মুহূর্তে যত সংখ্যক পুলিসকর্মী রয়েছে, তাতে প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রে দুজন সশস্ত্র পুলিসকর্মী এবং ছ-জন নিরস্ত্র পুলিসকর্মী মোতায়েন করা যেতে পারে।
তবে অ্যাডভোকেট জেনারেলের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন কমিশনের আইনজীবী সমরাদিত্য পাল। তাঁর বক্তব্য, একটি নির্বাচন কেন্দ্রে একাধিক বুথ থাকতে পারে। এর স্বপক্ষে তথ্যপ্রমাণও আদালতে পেশ করেন তিনি। একটি কেন্দ্রে ১৮টি বুথও রয়েছে, এমন তথ্যও তুলে ধরেন কমিশনের আইনজীবী। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কেন্দ্র প্রতি দুজন সশস্ত্র পুলিসকর্মী বলতে ঠিক কী বোঝাচ্ছে তা স্পষ্ট করতে বলেন সমরাদিত্য পাল।
একাধিক বুথ রয়েছে এমন কোনও ভোটকেন্দ্রে যদি মাত্র দুজন সশস্ত্র পুলিসকর্মী মোতায়েন করা হয়, সেক্ষেত্রে অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে আদালতে বলেন কমিশনের আইনজীবী। রাজ্যে গত পুরসভা, বিধানসভা কিংবা লোকসভার মতো সাতটি নির্বাচনে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতিটি বুথে দুজন করে সশস্ত্র পুলিসকর্মী মোতায়েন করা হয় বলেও আদালতে জানিয়েছেন সমরাদিত্য পাল। দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন।