সৌরভ হত্যাকাণ্ড: প্রতিশোধের ইচ্ছা-টার্গেট লিস্ট-খুন

ডায়রিতে লেখা ছিল টার্গেটদের নাম। সেই তালিকা অনুযায়ীই খুন করা হয়েছে সৌরভ চৌধুরীকে। বামগাছিতে প্রতিবাদী ছাত্রখুনের ঘটনায় সামনে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সৌরভ খুনের ঘটনায় সোমবার আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বদলা নিতেই সৌরভকে খুন করা হয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃতেরা।

Updated By: Jul 7, 2014, 06:09 PM IST

ডায়রিতে লেখা ছিল টার্গেটদের নাম। সেই তালিকা অনুযায়ীই খুন করা হয়েছে সৌরভ চৌধুরীকে। বামগাছিতে প্রতিবাদী ছাত্রখুনের ঘটনায় সামনে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সৌরভ খুনের ঘটনায় সোমবার আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বদলা নিতেই সৌরভকে খুন করা হয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃতেরা।

সৌরভ খুনের পরদিনই প্রধান অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকারের খোঁজে বামনগাছি এলাকায় অভিযান চালায় জনতা। তখনই চৌমাথা এলাকায় শ্যামলের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একটি ডায়রি। কী ছিল ডায়রিতে?

অসামাজিক কাজকর্মের জন্য দুসপ্তাহ আগে শ্যামলকে মারধর করেন বামনগাছির বাসিন্দারা। মার খেয়ে এলাকা ছাড়ার সময় প্রত্যেককে খুন করার হুমকি দিয়ে যায় শ্যামল। যাঁরা তাকে মারেন শ্যামলের ডায়রিতে তাঁদের নাম লেখা ছিল । সেই তালিকায় সবার উপরে ছিল সৌরভ চৌধুরীর নাম ।

এরপর রীতিমতো পরিকল্পনা করেই শ্যামল সৌরভকে খুন করে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। খুনের উদ্দেশ্যে দলও তৈরি করে সে। দাগী আসামি শ্যামল বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার জেল খেটেছে। বিভিন্ন জেলে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। অন্যান্য জায়গার অপরাধীদেরও শেল্টার দিত শ্যামল। বেলেঘাটার রাসমণি বাজার, গুমা ও অশোকনগরের গোপন ডেরায় শেল্টার দিত শ্যামল।

সৌরভ হত্যার পরিকল্পনায় স্থানীয় অপরাধীদের পাশাপাশি, নিজের বহিরাগত বন্ধুদেরও সামিল করেছিল শ্যামল। ওই হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনার দিনেই অনুপ তালুকদার নামে শ্যামলের এক শাগরেদকে পুলিসের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসী। সোমবার গ্রেফতার করা হয় আরও চারজনকে।

সোমবার বিলকান্দা, অশোকনগর ও ঘোলা থেকে গ্রেফতার করা হয় চারজনকে. ধৃতদের নাম উত্তম শিকারি, রতন সমাদ্দার, তাপস বিশ্বাস ও সুমন সরকার . ধৃতদের মধ্যে তাপস বিশ্বাস শ্যামলের বহিরাগত বন্ধু . বদলা নিতেই সৌরভকে খুন করা হয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃতেরা. ধৃতেরা জানিয়েছে, সৌরভকে খুনের আগে বামনগাছির একটি পানশালায় মদ্যপান করে তারা

দত্তপুকুর থানায় সৌরভের পরিবার যে এফ আই আর দায়ের করেছে তাতে শ্যামল কর্মকার, অনুপ তালুকদার এবং উত্তম শিকারি ছাড়াও নাম ছিল লিটন ও টোটা নামের শ্যামলের দুই শাগরেদের। এরমধ্যে লিটন ও টোটা এখনও অধরা। খোঁজ নেই প্রধান অভিযুক্ত শ্যামল সরকারেরও।

.