`সেন্সর`-এর পক্ষে সওয়াল শিশির অধিকারীর

সংবাদপত্রে সেন্সরশিপ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেদিন কড়া ভাষায় চিঠি পাঠালেন জোটসঙ্গী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সেদিনই সংবাদপত্র পাঠে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে সওয়াল করল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার মেচেদায় দলীয় সভায় তীব্র ভাষায় সংবাদ পত্রগুলির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে তৃণমূল সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী বলেন, তাঁরা সরকার চালাচ্ছেন। তাই যারা তাঁদের কথা বলবে তাদের সংবাদপত্রই তাঁরা পড়বেন, কিনবেন।

Updated By: Apr 2, 2012, 12:06 AM IST

সংবাদপত্রে সেন্সরশিপ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেদিন কড়া ভাষায় চিঠি পাঠালেন জোটসঙ্গী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সেদিনই সংবাদপত্র পাঠে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে সওয়াল করল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার মেচেদায় দলীয় সভায় তীব্র ভাষায় সংবাদ পত্রগুলির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে তৃণমূল সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী বলেন, তাঁরা সরকার চালাচ্ছেন। তাই যারা তাঁদের কথা বলবে তাদের সংবাদপত্রই তাঁরা পড়বেন, কিনবেন। এখনও সংবাদপাঠের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। যে বিপুল পরিমাণ বিজ্ঞাপন পায় বড় বড় সংবাদমাধ্যমগুলি তার উপরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হাত দেয়নি বলে সাফাই দিয়েছেন শিশিরবাবু।  
স্বভাবতই, তাঁর এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র একদিকে যেমন শিশিরবাবুর এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন অন্যদিকে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যকে স্বৈরাচারী বলে নিন্দা করেন। তাঁর দাবি, মানুষ এই ধরনের আচরণ মেনে নেবেন না।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, দিন কয়েক আগে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্‍‍কারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে আগামী দিনে সংবাদপাঠে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, রবিবার শিশিরবাবুর বক্তব্যের মধ্যেও যেন তারই প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত রয়েছে। তিনি যে ভাবে বলেছেন, এখনও তাঁরা সংবাদমাধ্যমের বিজ্ঞাপন বা সংবাদ পাঠে হস্তক্ষেপ করেননি, তা থেকেই আগামীতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার হুঁশিয়ারি লুকিয়ে রয়েছে বলে করছেন রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা।

.