ঈদের আনন্দ ভুলে কারখানা খোলার অপেক্ষায় শালিমার পেইন্টসের শ্রমিকরা
কবে আবার খুলবে কারখানা? আদৌ আর খুলবে তো? এখন এসব প্রশ্নেরই উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন বন্ধ শালিমার পেইন্টসের কর্মীরা। অবিলম্বে কারখানা খোলার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। কিন্তু শ্রমিকদের দুশ্চিন্তা কাটেনি। ঘোর অনিশ্চয়তায় আসন্ন উত্সবের আমেজ এখন ফিকে।
হাওড়া: কবে আবার খুলবে কারখানা? আদৌ আর খুলবে তো? এখন এসব প্রশ্নেরই উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন বন্ধ শালিমার পেইন্টসের কর্মীরা। অবিলম্বে কারখানা খোলার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। কিন্তু শ্রমিকদের দুশ্চিন্তা কাটেনি। ঘোর অনিশ্চয়তায় আসন্ন উত্সবের আমেজ এখন ফিকে।
বন্ধ শালিমার পেইন্টসের কর্মী সংখ্যা ১৬৩। বেশিরভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। নাজিরগঞ্জে জরাজীর্ণ আবাসনই ওঁদের ঠিকানা। রমজান মাস চলছে। আর কদিন পরেই খুশির ঈদ। ঠিক এরকম সময়ে কারখানা বন্ধের নোটিসে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে ৬০-৭০টি পরিবারে।
কথা বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান হারালেন সুলতানা। একে সারাদিন উপোসের ধকল, তার উপর দুশ্চিন্তায় সুলতানার মতোই কমবেশি কাহিল আবাসনের বাসিন্দারা। উত্সবে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর আশা ওঁরা ছেড়েই দিয়েছেন। রোজ দুমুঠো জোটানোই এখন হয়ে দাঁড়াচ্ছে চ্যালেঞ্জ।
কারখানা খোলার দাবিতে ইতিমধ্যেই সরব তৃণমূল। আইএনটিটি ইউসির তরফে গেট মিটিংও হল বৃহস্পতিবার।
তবুও আশ্বস্ত হতে পারছেন না শ্রমিকরা। রাতের ঘুম গেছে।
অনিশ্চয়তা যেন তাড়া করে বেড়াচ্ছে ওঁদের । উত্সবের আমেজও তাই এবার অনেকটাই ম্লান।