সাড়ে ৩০০ বছর ধরে বালিডাঙার বিশ্বাসে বেঁচে রয়েছে শাঁখা পরা উত্সব
হুগলির বালিডাঙা গ্রামের শাঁখা পরা উত্সব প্রায় সাড়ে ৩০০ বছরের। বৈশাখ মাসের শুক্লা ত্রয়োদশী তিথিতে ফি বছর এখানে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। দেবীর উদ্দেশ্যে মহিলারা তারিনি পুকুরে ভাসান শাঁখা পলা এবং সিঁদুর।
বালিডাঙার শাখা পরা উত্সব দীর্ঘদিনের। জনশ্রুতি, বৈশাখ মাসের কোনও এক সময় তারিনি পুকুরের ধারে দুর্গা শাঁখারির কাছে এক কুমারি শাঁখা পরতে চান। শাঁখা পরে পয়সা নিতে বলেন তত্কালীন জমিদার নবকুমার ঘোষালের থেকে। কুমারি জানায়, শাখাঁর দাম রাখা আছে ঝাঁপিতে। নবকুমার ঘোষালের তখন জমিদারি চলে গিয়েছে, আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। অপমানে গৃহদেবী রাঢ়েশ্বরী মঙ্গলচন্ডিকার খড়্গ তুলে নিয়ে আত্মঘাতী হবেন তিনি, এমন সময় হাজির হন দুর্গা শাঁখারি। জানান, কুমারির কথা। নবকুমার ঘোষালও ঝাঁপি খুলতেই বেরিয়ে পড়ে একের পর এক আদুলি। দুজনেই উপস্থিত হন তারিনি পুকুরের সামনে। অনেক ডাকার পর দেবীই পুকুরের জল থেকে তাঁর শাঁখা পরা হাত দুটি দেখান। সেই থেকে তারিনি পুকুরে বৈশাখ মাসে শাঁখা পলা সিঁদুর দিয়ে পুজো দেওয়ার রীতি। সীতারাম দাস ওঙ্কারনাথের সময় থেকে এই উত্সব জনপ্রিয়তা লাভ করে।
বৈশাখের শুক্ল ত্রয়োদশী তিথিতে বালিডাঙায় ভিড় করেন দূর দূরান্তের মানুষ। তিন দিন ধরে চলে উত্সব। হরিনাম, পুজো। সঙ্গে ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থাও থাকে ঢালাও।