আসানসোলের শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডুকে কুর্নিশ

প্রায় প্রত্যেকের একটা হবি থাকে। বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন হবি। হবিও সব তাক লাগানো । আসানসোলের এক শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডু। তাঁরও একটা হবি আছে। তবে খুব সাধারণ। খাওয়ানো। পথ শিশুদের মুখে ভাত জোগানো। তবে তিনি তাঁর এই শখ পূরণে সামিল করেছেন বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁর মালিককে। বিক্রি না হওয়া খাবার ফেলে না দিয়ে পথ শিশুদের মুখে ভাত তুলে দিচ্ছেন তাঁরা।

Updated By: Oct 17, 2016, 06:44 PM IST
 আসানসোলের শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডুকে কুর্নিশ

ওয়েব ডেস্ক: প্রায় প্রত্যেকের একটা হবি থাকে। বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন হবি। হবিও সব তাক লাগানো । আসানসোলের এক শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডু। তাঁরও একটা হবি আছে। তবে খুব সাধারণ। খাওয়ানো। পথ শিশুদের মুখে ভাত জোগানো। তবে তিনি তাঁর এই শখ পূরণে সামিল করেছেন বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁর মালিককে। বিক্রি না হওয়া খাবার ফেলে না দিয়ে পথ শিশুদের মুখে ভাত তুলে দিচ্ছেন তাঁরা।
কেউ কখনও পাত সাজিয়ে খেতে দেয়নি। কেউ না।  সেই জন্ম থেকেই ঘুম ভাঙা চোখে একটাই জিজ্ঞাসা আজ খাবার জুটবে তো? খাবারের সন্ধানে সেই ছোট থেকেই ঠাঁই মিলেছে  স্টেশনে, বাস স্ট্যান্ডে।  সেই ছোট্ট বেলাতেই শিক্ষা হয়ে যায়, হাত শুধু মাত্র পাতার জন্যই । সেই হাত পাতা হাতগুলোকে ভাত মাখার স্বাদ দিতে এগিয়ে এসেছেন জনা কয়েক মানুষ। শুধু এগিয়ে আসা নয়, রীতিমত তাঁরা ভাত জোগাচ্ছেন আসানসোলের কয়েকজন পথশিশুকে।

আরও পড়ুন জীবনের সেরা শিক্ষাটা কোনও ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমাদের দিয়েছেন অনিল কুম্বলে

ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া আধখাওয়া অপেল কুড়িয়ে এনে একটাই প্রশ্ন, আপেল খেতে কী ভাতের মতই?  বহুদিন খেতে না পাওয়া এই শিশুগুলির মুখে ভাত তুলে দিতে এক অসাধরণ পরিকল্পনা করেছেন আসানসোলের  শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডু। বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁর মালিকদের তিনি বুঝিয়েছেন বিক্রি না হওয়া খাবার ফেলে না দিয়ে পথ শিশুদের দিতে। সবাই এগিয়ে আসেনি। তবে কয়েকজন তো এগিয়ে এসেছেন। তাতেও ভাত জুটেছে বেশ কয়েকজন পথ শিশুর। শুধুই কী হোটেল রেস্তোরাঁ। বাড়িতেও তো খাবার নষ্ট হয়। কিন্তু সকলের তরে সকলে আমরা-এ মন কজনার? চন্দ্রশেখর কুণ্ডর দাবি ,তিনি একা নন সবাই এমনটাই চান। কিন্তু হয়ে ওঠেনা। তাঁর আশা তাঁকে দেখে হয়তো এগিয়ে আসবে আরও অনেকে।

আরও পড়ুন  জানেন আমাদের কোটি টুইটে সবথেকে বেশি কোন খাবারের নাম থাকে?

.