১৫ অগাস্টের আগে জঙ্গলমহলে মাওবাদী হামলার সতর্কবার্তা কেন্দ্রের
পনেরোই অগাস্টের আগে রাজ্যের জঙ্গলমহলে হামলা চালাতে পারে মাওবাদীরা। কেন্দ্রের তরফে মিলেছে সতর্কবার্তা। দুশ্চিন্তার যে যথেষ্ঠ কারণ আছে, জঙ্গলের গভীরে ঢুকেই তা টের পাওয়া গেল। গ্রামবাসীদের কথায় স্পষ্ট, ধীরে ধীরে হলেও এরাজ্যের জঙ্গলমহলে ক্ষমতা বাড়াচ্ছে মাওবাদীরা।
কেন্দ্রের মাওবাদী সতর্কতা। তার জেরে স্বাধীনতা দিবসের আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে নাকাবন্দি। সর্বত্র কড়া নজরদারি। সঙ্গে খানাতল্লাসি।
----
এত কিছুর পরেও কতটা নিরাপদ পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গমহল? বেলপাহাড়ি বরাবরই মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি। সাম্প্রতিক গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, এই জায়গাটাকে কাজে লাগিয়েই পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গমহলে সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা করছে মাওবাদীরা। তার জেলার ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া গ্রামগুলোকেই বেছে নিচ্ছে তারা।
এই মুহূর্তে মাওবাদীদের প্রায় ৩০ জন সদস্যের একটি দল দুই রাজ্যের সীমানা এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। দিনের বিভিন্ন সময় তারা কখনও এরাজ্যে, আবার কখনও ঝাড়খণ্ডে ঘোরাফেরা করেছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোদ, মাওবাদীরা জঙ্গলের গভীরে যে এলাকায় থাকছে, সেখানে বাহিনীর অভিযান প্রায় হয়ই না। পুলিস কখনও কখনও আসে, তবে মাওবাদীরা চলে যাওয়ার পর। সম্প্রতি লালগড় আন্দোলন নিয়ে আত্মসমালোচনা মূলক মন্তব্য করেছে মাওবাদীরা। কিষেণজির মৃত্যুর বদলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ঝাড়খণ্ড সীমানায় ওত পেতে থাকা মাওবাদীরা তাই আবার ধুকপুকুনি ধরিয়েছে বেলপাহাড়ির বুকে।